>ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের পর কাঁদতে গ্যালারিতে কাঁদতে দেখা গেছে ম্যারাডোনাকে। উত্তরসূরিদের এত বড় পরাজয় মেনে নিতে পারেননি ’৮৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ার পর অঝোরে কেঁদেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সেই দৃশ্য কোনো দিন ভুলতে পারবেন না ফুটবলপ্রেমীরা। ম্যারাডোনা ২৮ বছর পর আবারও কাঁদলেন। দর্শক গ্যালারিতে বসে উত্তরসূরিদের ব্যর্থতায় চোখ ভেজালেন।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই গ্যালারিতে বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু ম্যাচ শেষেই রাজ্যের হতাশা তাঁর চোখে-মুখে। হাত দিলেন মাথায়, আলতো করে মুছলেন চোখটাও। চোখের সামনে উত্তরসূরিদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ কীভাবে মেনে নিতে পারেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
ম্যারাডোনার এমন অসহায়ত্ব দেখে এক ফুটবল–সমর্থক লিখেছেন, ‘তোমার সেই “হ্যান্ড অব গড” কোথায়?’ কে জানে আর্জেন্টাইন–সমর্থকেরা হয়তো গতকাল ‘৮৬–র ম্যারাডোনার মতো কাউকে দেখতে চেয়েছিলেন! একজন মেসি ছিলেন। কিন্তু গতকাল তাঁকে মাঠে খুঁজতে হয়েছে অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই ম্যারাডোনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে খুব একটা পছন্দ করছিলেন না। কোচের কৌশল নিয়ে দ্বিমত ছিল তাঁর। বেশ কড়া কথাই বলেছিলেন, ‘এই দল একটা ম্যাচও জিততে পারবে না।’ নিজের বিশ্লেষণ যে এভাবে এতটা কাছাকাছি হবে, সেটা কি আর তিনি ভেবেছিলেন!