ডিয়েগো ম্যারাডোনার এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে অ্যাকশনে কিংবদন্তি
ডিয়েগো ম্যারাডোনার এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে অ্যাকশনে কিংবদন্তি

ম্যারাডোনাকে হারিয়ে কাঁদছেন মাশরাফি-সাকিবরাও

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসের ঝড় বইছে। বেশির ভাগ স্ট্যাটাসেই কান্নার সুর, নয়তো প্রিয়জন হারানো ব্যথা। এমন একজন চলে গেছেন যাঁকে একবাক্যে ভালোবেসেছে গোটা বিশ্ব।

সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজার হৃদয়ও তাই কাঁদছে। সব কান্নায় তো আর অশ্রু ঝরে না, কিছু কান্না মোড়ানো থাকে কষ্টের অক্ষরে।

ডিয়েগো ম্যারাডোনা পাড়ি জমিয়েছেন অনন্তলোকে। স্বাভাবিকভাবেই শুধু ফুটবলবিশ্ব নয়, গোটা ক্রীড়াবিশ্বেরই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ার কথা। হচ্ছেও ঠিক তাই—ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে চলছে শোকের মাতম।

এমন নয় যে ম্যারাডোনা হুট করে চলে গেছেন, অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। লড়াই করতে করতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে কিংবদন্তি পাড়ি জমিয়েছেন অন্য লোকে। তবু শোকটা যেন কিংবদন্তিকে হুট করে হারানোর। তাঁর মতো যে আর কেউ আসবেন না!

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজে ঠিক এ কথাটাই বলেছেন, ‘শোকের পরে শোক চলছে। তোমার থেকে বড় সুপারস্টার আমার চোখে আর কেউ ছিল না, আর আসবেও না। ব্যক্তি জীবনে তুমি আমার একমাত্র সুপারস্টার ছিলে, যাকে আমি একবার হলেও সামনে থেকে দেখতে চেয়েছিলাম। তোমার বাঁ পায়ের আঁকা নিখুঁত গোলের ছবিগুলো মনের ক্যানভাসে থেকে যাবে আজীবন। ভালো থেকো ওপারে জাদুকর। দা ড্রিবলিং মাস্টার। দিয়াগো আরমান্দো মারাদোনা।’

বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব মনে করেন ম্যারাডোনা এমন একজন ফুটবলার ছিলেন, যিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আর্জেন্টাইন মহানায়ক সাকিবের চোখে সব প্রজন্মের কাছেই কিংবদন্তি, ‘এমন কয়েকজন খেলোয়াড় থাকে, যাদের জনপ্রিয়তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যায়। যারা সব প্রজন্মের কাছে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা এমনি এক খেলোয়াড় ছিলেন। খেলার মাঠে তার অবিশ্বাস্য প্রতিভা আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসার কথা না বললেই না। খেলার মাঠে তিনি সব সময়ই পরিচয় দিয়েছেন বুদ্ধিমত্তার। তাঁর মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড় ছিল বলেই, ফুটবল আমাদের এত আনন্দ দেয়। বিদায়, দিয়েগো!’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনও ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চিরবিদায় ফুটবলের জাদুকর। আর্জেন্টাইন ফুটবলের রাজপুত্র।’