মাঠ যেন একটি উপন্যাস, আর রোনালদো যেন তার একমাত্র লেখক। তিনি যেভাবে লিখবেন, ম্যাচের ফল যেন ঠিক সে রকমই হবে। লিওনেল মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তবে আজ মেসির পূর্বসূরির এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রোনালদো। ম্যারাডোনাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। সে সঙ্গে ছাড়িয়ে গেছেন ফেরেঙ্ক পুসকাসকে।
মরক্কোর বিপক্ষে আজও সবার চোখ থাকছে রোনালদোর ওপরই। কেন? সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন ম্যাচের ৪ মিনিটেই। জোয়াও মুতিনহোর ক্রসে সবাই যখন লাফাচ্ছেন, রোনালদো তখন দক্ষ শিকারির মতো নিচু হয়ে বল খুঁজে নিলেন। দারুণ এক হেডে এগিয়ে দিলেন দলকে। সে গোলেই ছুঁয়েছেন ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকে। বাকি ৮৬ মিনিটে আর একটি গোল করতে পারলেই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেও ছাড়িয়ে যাবেন রোনালদো।
কাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৬টি গোল করে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। গত ম্যাচে হ্যাটট্রিকের বদৌলতে অধিনায়ক হিসেবে রোনালদোর গোলের সংখ্যা ছিল ৫। আজ এ গোল করে ম্যারাডোনার রাজত্বে ভাগ বসিয়েছেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। আর এ গোল দিয়েই আরেক কিংবদন্তি পুসকাসকে ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদো।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন ৮৫ গোল রোনালদোর। ইউরোপিয়ান অঞ্চলে জাতীয় দলের হয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গোল এই রিয়াল ফরোয়ার্ডের। এত দিন এ রেকর্ড ছিল আরেক রিয়াল তারকা পুসকাসের। হাঙ্গেরির হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৮৪ গোল করেছেন তিনি। তবে ইউরোপের গণ্ডি ছাড়ালে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ইরানের আলী দাইয়ি। ইরানি ফরোয়ার্ডের গোলসংখ্যা ১০৯।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল | ||
খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ/গোল |
আলী দাইয়ি | ইরান | ১৪৯/১০৯ |
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো | পর্তুগাল | ১৫২/৮৫ |
ফেরেঙ্ক পুসকাস | হাঙ্গেরি/স্পেন | ৮৯/৮৪ |