ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে লিভারপুলের কাছেধারে কেউ নেই (৩৭)। এখন পর্যন্ত অন্তত এই কথা বলাই যায়। ইঁদুর-বিড়াল দৌড়টা হচ্ছে টেবিলের ২, ৩, ৪-এর জায়গা নিয়ে লেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার সিটি আর চেলসির মধ্যে। আজ ম্যানসিটি আর চেলসির খেলার আগেই উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছিল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ভক্তরা আগুনঝরা এক ম্যাচ দেখবে নিশ্চিত। হলোও তাই! উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে ম্যানসিটি। চেলসিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে সিটি।
‘আক্রমণ...।’ এই এক মন্ত্র পড়েই মাঠে নেমেছিল দুই দলের খেলোয়াড়েরা। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ছিন্নভিন্ন করাই ছিল দুই দলের মূল মন্ত্র। ম্যাচে প্রথম আঘাতটা আসে চেলসির কাছ থেকেই। ২১ মিনিটে কান্তের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। কোভাচিচের বাড়ানো বল জালে জড়ান কান্তে। প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে তিনবার গোলমুখে শট নিয়ে তিনটিই গোলে পরিণত করেছেন কান্তে। মিনিট তিনেক পর ডি ব্রুইনের কর্নার কিক থেকে গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্টোনস।
তবে জবাব দিতে খুব বেশি দেরি করেনি ম্যানসিটি। কান্তের গোলের আট মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। জটলার মধ্যে বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে জড়ান সিটির বেলজিয়ান এই তারকা।
ইতিহাদের মাঠে স্বাগতিকেরা এগিয়ে যায় প্রথমার্ধেই। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে হার্নান্দেজের বাড়ানো বল জালে জড়ান মাহরেজ। প্রথমার্ধেই ফের সমতায় ফেরার সুযোগ পায় চেলসি। সুযোগ হাতছাড়া করেন চেলসির আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরা।
সমতায় ফিরতে বলের দখল নিয়ে আক্রমণে ধার বাড়ায় চেলসি। একের পর এক আক্রমণে সিটির রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে ল্যাম্পার্ডের শিষ্যরা। পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে সিটিও। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দলই। চেলসির অতিরিক্ত আক্রমণের ফলে রক্ষণ খানিকটা নড়বড়ে হয়ে পড়ে খেলার শেষদিকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে যোগ হওয়া সময়ে সুযোগ কাজে লাগায় সিটি। জেসুসের হেড থেকে পাওয়া বলে শট নেন স্টার্লিং। চেলসির গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালেও জড়ায়। কিন্তু ভার-এর সাহায্যে গোল বাতিল হলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ম্যানসিটিকে।