জাপানের এক ফুটবলার হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন ব্রাজিলের সান্তোসে। কাজুইয়োশি মিউরা তো জাপানের ফুটবলের রূপ বদলেরই অন্য নাম। তবে কাজুইয়োশি মিউরা—এত লম্বা নামটা বলে তাঁকে চেনানো কঠিন। ভক্তদের কাছে তো তিনি ‘কিং কাজু’! যিনি মাঠে দুর্দান্ত কোনো গোল করলে বা দারুণ প্লে-মেকিংয়ে অংশ নিলেই নাচের এক বিশেষ মুদ্রা দেখিয়ে দেন, ‘কাজু ড্যান্স’।
পরশু অবশ্য কাজু নাচ দেখানোর সুযোগ পাননি ‘কিং কাজু’, তবে মাঠে নেমেই ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। ভি-ভ্যারেন নাফাসাকির বিপক্ষে ইয়োকোহামার জার্সিতে নামা কাজুর বয়স ছিল ৫০ বছর ৭ দিন। এতেই ভেঙে গেল অর্ধশতাব্দী পুরোনো এক রেকর্ড। ১৯৬৫ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার দিনে সাবেক ইংলিশ উইঙ্গার স্যার স্ট্যানলি ম্যাথুজের বয়স ছিল ৫০ বছর ৫ দিন। সবচেয়ে বেশি বয়সে পেশাদার ফুটবল খেলার রেকর্ড এখন কাজুর। এমন এক রেকর্ড গড়ার পরও বিনয় ঝরে পড়ছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ খেলা স্ট্রাইকারের, ‘ম্যাথুজ একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়। তাঁকে টপকে গেছি, এমন কিছু মনে হচ্ছে না। হয়তো অনেক দিন খেলার হিসেবে তাঁকে ছাড়িয়ে গেছি, কিন্তু তাঁর পরিসংখ্যান কখনো ছুঁতে পারব না আমি।’ চুলে পাক ধরেছে, নাচের ভঙ্গিতেও আগের সেই মসৃণ ভাবটা থাকে না। তবু থামতে রাজি নন কাজু্। তা আর কত দিন খেলবেন? ৬০ বছর পর্যন্ত খুবই সম্ভব মনে করছেন কাজুইয়োশি মিউরা। এএফপি।