অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র। সুইজারল্যান্ডের নিওনে অনুষ্ঠিত এই ড্র-তে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল জেনে নিল সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে কার সঙ্গে মুখোমুখি হতে হবে। সেখানেই আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে কারা কাঁটা হচ্ছেন, সেটা জানতে পেরেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি
রোনালদোর জুভেন্টাস মুখোমুখি হচ্ছে ডাচ ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডামের, মেসির বার্সেলোনা মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। লিভারপুল পেয়েছে অপেক্ষাকৃত সোজা প্রতিপক্ষ। গতবার দ্বিতীয় রাউন্ডে যে পোর্তোকে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছিল তারা, সেই পোর্তোকেই তারা পেয়েছে এবার কোয়ার্টারে। টুর্নামেন্টের একমাত্র ‘অল-ইংলিশ’ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহাম হটস্পার।
২০০৭/০৮ মৌসুমের সেমিফাইনালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই লেগের কোনো নকআউট ম্যাচে দেখা হচ্ছে বার্সেলোনা ও ইউনাইটেডের। সেবার পল স্কোলসের একমাত্র গোলে ফাইনালে গিয়েছিল ইউনাইটেড। এরপর দুই দল নকআউটে দুবারই মুখোমুখি হয়েছে। ২০০৯ ও ২০১১ সালের দুটি ফাইনালেই জয়ী হয়েছিল বার্সেলোনা। দুই লেগের নকআউট পর্বে দুই দলের প্রথম দেখাতেও জয়ী দলের নাম অবশ্য ইউনাইটেডই (১৯৮৩/৮৪ মৌসুম)।
‘অল ইংলিশ’ কোয়ার্টার ফাইনালে সিটি অবশ্যই এগিয়ে। লিগের শীর্ষে থাকা দলটি টটেনহামের বিপক্ষে কদিন আগেই জয় পেয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সিটির পক্ষে নেই। এর আগে নকআউট পর্বে দুবার ইংলিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছে দলটি। চেলসি (১৯৭০/৭১) ও লিভারপুলের (২০১৭/১৮) বিপক্ষে দুবারই হেরেছে তারা।
আয়াক্স ও জুভেন্টাসের লড়াই নিয়ে বেশ আগ্রহ জন্ম নিয়েছে। একদিকে তরুণ আয়াক্স, অন্যদিকে অভিজ্ঞ জুভেন্টাসের এ লড়াইয়ে ইতিহাস জুভেন্টাসকে এগিয়ে রাখছে। এ দুই দল ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ২ বার জিতেছে আয়াক্স। এরপর থেকেই অপরাজিত জুভেন্টাস। গত ছয় ম্যাচের পাঁচটিই জিতেছে তারা। দুই লেগের ম্যাচে চারবার মুখোমুখি হয়ে চারবারই জয়ী জুভেন্টাস।
ওদিকে ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে দুই লেগের সর্বশেষ পাঁচটি ম্যাচেই হেরেছে পোর্তো। ২০০৩/০৪ সালে হোসে মরিনহোর অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের পর আর কখনো ইংলিশ দলের বিপক্ষে দুই লেগের ম্যাচ জেতেনি। এই পোর্তোকেই গতবার শেষ ষোলোতে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছিল লিভারপুল।