প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে ড্র। এরপর ক্রোয়েশিয়ার কাছে এমন বাজেভাবে হার। তো আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়াটা কী?
না; মেসি ও তাঁর সতীর্থদের সমবেদনা কিংবা সান্ত্বনা দেওয়ার ধারেকাছে যাচ্ছে না দেশটির সংবাদমাধ্যম। আর্জেন্টিনার ফুটবল দলকে রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছে তারা। আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমগুলোর কাছে এটি এমন একটা ফলাফল, প্রিয় মানুষের লাশের মতো যার ভার সহ্য করা যায় না।
মেসির সমালোচনা করে দেশটির স্থানীয় টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার ডিয়েগো লাতোররি বলেছেন, মেসি বৈদ্যুতিক খাম্বার মতো স্থির হয়ে ছিলেন। তাঁর পায়ে গতি ছিল না। পুরো ম্যাচে মেসি মনমরা হয়ে ছিলেন।
ক্লারিন নামের একটি পত্রিকা লিখেছে, ‘ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে।’ তারা লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা হতাশ করেছে এবং বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পথে।’
লা নেসিওন নামের একটি পত্রিকা লিখেছে, আর্জেন্টিনা নাকি ক্রোয়েশিয়ার উপহাসের শিকার হয়েছে! এই হারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে টিকে থাকা হুমকির মুখে পড়েছে বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে লিখেছে পত্রিকাটি।
দ্য ইনফোবায়ি নামের আর্জেন্টাইন এক অনলাইন এই পরাজয়কে ‘অপমানজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। উইলি কাবায়েরোর ওই কাণ্ডকে তারা ‘অবিশ্বাস্য’ বলে উল্লেখ করেছে।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের ডিফেন্ডার অস্কার রুজ্জেরি তো টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েননি। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক উইলি কাবায়েরোকে নিয়ে তিনি বলেছেন, কাবায়েরোকে দলে নেওয়া হয়েছে, কারণ সে পা দিয়ে ভালো খেলতে পারে।
এমন লজ্জাজনক হারের পর নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমের এ রকম প্রতিক্রিয়া হলে দেশের বাইরের সমর্থকদের মনের কী অবস্থা, সেটা কি মেসিরা জানেন?