>ইসরায়েল এখনো লেগে রয়েছে আর্জেন্টিনার পেছনে। উদ্দেশ্য, বাতিল হয়ে যাওয়া প্রীতি ম্যাচটি যেন আবার আয়োজন করা যায়। এ জন্য তোয়াজ করে ভিডিও বানিয়েছে তারা। কিন্তু আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ড্রয়ের পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে তাদের মনমানসিকতা।
‘আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি গায়ে অফিসে বসে ম্যাগাজিনে মেসির ছবি দেখছেন ইলান স্টুলমান। তিনি আর্জেন্টিনায় নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত। এমন একটি ভিডিও ফুটেজই টুইট করেছে আর্জেন্টিনায় অবস্থিত ইসরায়েল দূতাবাস। পুরো ভিডিওতে আছে মেসি–বন্দনা। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আলোচনার জন্ম দেওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনা-ইসরায়েল প্রীতি ম্যাচ নিয়ে তো কম বিতর্ক হয়নি। ৯ জুন বিরোধপূর্ণ শহর জেরুজালেমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। আর্জেন্টিনা ও মেসি যেন সেই ম্যাচটা খেলতে জেরুজালেমে না যান, সেটিই মনেপ্রাণে প্রত্যাশিত ছিল ফিলিস্তিনিদের। ব্যাপারটা যুগের পর যুগ ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধের একটা স্পর্শকাতর বিষয়েই পরিণত হয়েছিল। ফিলিস্তিনিদের দাবি ছিল, মেসি বা আর্জেন্টিনা যদি ম্যাচটি খেলতে ইসরায়েলে যায়, তাহলে সেটি হবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতাকে সমর্থন দেওয়াই।
আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি খেলেনি। এতে বেশ চটেছিল ইসরায়েল। নানা উপায়ে আর্জেন্টিনা ও মেসির ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছে তারা। কিন্তু হঠাৎই ভোল পাল্টে ফেলেছে তারা। ১৪ জুন টুইটারে পোস্ট হওয়া ভিডিওটিই তার প্রমাণ। আর্জেন্টিনাকে পটানোর মিশনেই নেমেছে তারা। উদ্দেশ্য একটাই, প্রীতি ম্যাচটা যেন আবারও আয়োজন করা যায়। ম্যাচটি বাতিল হওয়া যেন ছিল ইসরায়েলের অহংয়ে বড় ধরনের একটা আঘাত।
ভিডিও বার্তাটিতে ছিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রতি শুভকামনা। তবে প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদার লিভারমন যে মন্তব্য করেছিলেন, তাতেই তাদের মনমানসিকতার পরিচয় পেয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। তিনি বলেছিলেন, ‘আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র হয়েই প্রমাণিত হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচটি আর্জেন্টিনা ও মেসির জন্য কতটা প্রয়োজন ছিল।’