>বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিন গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে যুগ্মভাবে শীর্ষে পর্তুগিজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রাশিয়ান ডেনিস চেরিশভ। জোড়া গোল করেছেন হ্যারি কেইন, রোমেলু লুকাকু ও ডিয়েগো কস্তা। কিন্তু এখনো গোলের খাতা খুলতে পারেননি নেইমার ও মেসি।
মেসি, রোনালদো ও নেইমার। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ের সম্ভাব্য তালিকায় রাখা হয়েছিল এই তিন তারকাকে। শেষ পর্যন্ত কার হাতে উঠবে এই পুরস্কার? কে হবেন রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা? চাইলে এই তিনজনের সঙ্গে সম্ভাব্য তালিকায় আরও একটি নাম যোগ করে নিতে পারেন। তিনি ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন।
ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করা এই ইংলিশ স্ট্রাইকার শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে থাকতে চান বলে চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন। রাশিয়া ও মিসর ছাড়া সব কটি দলই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ খেলেছে। ফলে ‘গোল্ডেন বুট’ নিয়ে বাড়ি ফিরবেন কে, তা এখনই বলা বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত মেসি ও নেইমারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন কেইন। যেখানে আর্জেন্টাইন ও ব্রাজিলিয়ান তারকা এখনো গোলের খাতা খুলতে পারেননি, সেখানে তিনি করেছেন জোড়া গোল।
জোড়া গোল করে কেইনের সঙ্গে আছেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু ও স্প্যানিশ ডিয়েগো কস্তা। আর তিন গোল করে সবার সামনে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রাশিয়ান ডেনিস চেরিশভ।
তবে ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ের লড়াইয়ে একসঙ্গে এত প্রতিদ্বন্দ্বীর কথা ভাবতে চাচ্ছেন না ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক কেইন। তাঁর মতে, মেসি ও রোনালদোর সঙ্গেই হতে পারে লড়াই, ‘পুরো ক্যারিয়ারে মানুষকে ভুল প্রমাণ করে নিজেকে প্রমাণিত করেছি। রোনালদো এ বিশ্বকাপে সেরা পর্যায়ে আছেন। মেসিও তাই। তাঁদের সঙ্গেই হবে আমার লড়াই। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতে হলে লক্ষ্য ওপরে থাকতে হবে, নিচে নয়। শেষ ইউরো ফুটবলে আমার খুব বাজে সময় গেছে। সুতরাং বিশ্বকাপটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের। সেখানে জোড়া গোল করার চেয়ে ভালো কোনো উপায় ছিল না।’
রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে নিয়ে বাজি ধরার লোক খুব কমই আছে। কিন্তু একজন কেইন আছেন বলেই কেউ গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে একেবারে ফেলে দিতে পারছে না। ১৯৯০ বিশ্বকাপে গ্যারি লিনেকারের জোড়া গোলের ২৮ বছর পর প্রথম কোনো ইংলিশ হিসেবে জোড়া গোল করেছেন কেইন। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কেইন যে সোনার জুতা জয়ের লড়াইয়ে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবেন, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।