>লিভারপুলের বিপক্ষে লিওনেল মেসির সেই দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে করা গোলটাই নির্বাচিত হলো চ্যাম্পিয়নস লিগে গত মৌসুমের সেরা গোল হিসেবে।
ম্যাচের ৮২ মিনিট। বক্সের বাইরে লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফাবিনহোর কল্যাণে একটা ফ্রি কিক পেল বার্সেলোনা। ধীর পায়ে ফ্রি কিকটা নিতে এলেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। পোস্টের ওপরে ডানদিকের কোনাটায় যে নজর মেসির সেটা টের পেয়েছিলেন অ্যালিসন বেকারও।
পরিচিত ঢঙে বলটা বাতাসে ভাসিয়ে দিলেন মেসি। তাঁর বাম পায়ের জাদুতে বোকা বনে গেলেন লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন, ঝাঁপ দিয়েও ঠেকাতে পারলেন না শটটা। ঠিক ওই দিক দিয়েই পোস্টে বল ঢুকে গেল। বার্সেলোনাও নিজেদের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে এগিয়ে গেল ৩-০ গোলে। এই দুর্দান্ত গোলটাই এবার নির্বাচিত হয়েছে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা গোল হিসেবে।
সেরা গোলের পুরস্কার নিতে গিয়ে হয়তো একটু কষ্টও হবে মেসির। এমন দুর্দান্ত গোল করেও যে দলকে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলতে পারেননি! উল্টো নিজেদের মাঠে রূপকথার জন্ম দিয়ে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল লিভারপুল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে তাই লিভারপুলই উঠে যায়। পরে ফাইনালে টটেনহামকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিভারপুল জিতে যায় চ্যাম্পিয়নস লিগ। পাঁচ বছর ধরে চলে আসা মেসিদের চ্যাম্পিয়নস লিগ-খরা তাতে দীর্ঘায়িতই হয়েছে শুধু।
পুরস্কার পাওয়ার পথে মেসি হারিয়েছেন দুই পর্তুগিজ তারকা—চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও পোর্তোর দানিলোকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে রোনালদোর করা দুর্দান্ত গোলটা হয়েছে দ্বিতীয় ও সার্বিয়ার বিপক্ষে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার দানিলোর গোলটা হয়েছে তৃতীয়।
দুই বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা গোলের পুরস্কার পেলেন মেসি। গত বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে জুভেন্টাসের বিপক্ষে রোনালদোর দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকে করা গোলটা হয়েছিল সেরা। তার আগের বছরেও আরেক বাইসাইকেল কিকে করা গোলকে সেরা নির্বাচিত করেছিল উয়েফা। সেবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসের ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার মারিও মানজুকিচ করেছিলেন গোলটি। তার আগের দুবার টানা জিতেছিলেন মেসি। একবার রোমার বিপক্ষে করা গোলের জন্য, আরেকবার বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে করা গোলের জন্য।