গত বছর কোপা দেল রের ফাইনালে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। ম্যাচটা জিতেছিল বার্সেলোনা, কাতালানদের জার্সি গায়ে সেটাই হয়ে গেল মেসির শেষ শিরোপা।
ম্যাচ শেষে ট্রফি নিয়ে মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার বাকি সব খেলোয়াড়ের ছবি তোলার ধুম পড়ে গিয়েছিল যেন! শুধু সাধারণ দর্শকই নন, খেলোয়াড়েরাও যে মেসির গুণমুগ্ধ দর্শক, সেটাই যেন প্রমাণ হয়েছিল সেদিন।
ক্লাব ও জাতীয় দলে মেসির জনপ্রিয়তা যে কতটা বেশি, সেটা জাতীয় দলে মেসির বিভিন্ন সতীর্থদের কথাবার্তায়ও বোঝা যায়। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, রদ্রিগো দি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, আনহেল দি মারিয়া, আলেহান্দ্রো গোমেজ কিংবা লাওতারো মার্তিনেজরা বিভিন্ন সময়ে নিজেদের ওপর মেসির প্রভাব বর্ণনায় পিছপা হন না।
প্রশংসা করায় কখনো কৃপণতা করেন না। লেফটব্যাক নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর কথাতেই সেটার প্রতিধ্বনিই শোনা গেল।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসির প্রসঙ্গ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাগলিয়াফিকোও আর দশজনের মতো মেসির পাঁড় ভক্ত হয়ে গেলেন।
ওলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসির সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার মুহূর্তটি বর্ণনা করেছেন আয়াক্সের এই লেফটব্যাক।
যত ভালো ফুটবলারই হন না কেন, মেসির সামনে সবাই যে ম্লান হয়ে যান, সেটাই বোঝা গেল তালিয়াফিকোর কথায়, ‘২০১৭ সালে জাতীয় দলের সঙ্গে প্রথম প্রথম অনুশীলন করা শুরু করেছি। একদিন লিফটে মেসির সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। আমার শরীর জমে ঠান্ডা হয়ে গেল যেন। মেসিকে দেখে পা কাঁপছিল আমার!’
মেসিকে দলের সবাই আদর্শ হিসেবে মনে করেন, সেটাও বলেছেন তালিয়াফিকো, ‘তিনি যা যা করেছেন, ফুটবলার হিসেবে যা যা অর্জন করেছেন, সে জন্য তাঁর সম্মান প্রাপ্য। আমরা তাঁকে আদর্শ মানি। আর এখন তো তাঁকে সব সময় কাছেই পাচ্ছি। কাছে থেকে বুঝতে পারছি, তিনি মানুষ হিসেবে আরও বড়।’