২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের ক্ষত তো আছেই। আছে টানা বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকাসহ তিন ফাইনাল হারের দুঃখ। পুরোনো দুঃখ ভুলে যাওয়ার অভিযানে নেমেই আজ ধাক্কা খেল আর্জেন্টিনা। রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-১ ড্র ধাক্কাই। আজ জেতার পরিষ্কার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। আর সুযোগটা এমনই একজন হাতছাড়া করেছেন, যাঁর দিকে তাকিয়ে পুরো আর্জেন্টিনা।
৬৪ মিনিটে লিওনেল মেসির পেনাল্টি মিস নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কথা হবে আরও অনেক দিন, যদি না আর্জেন্টিনা অধিনায়ক এই দুঃখ ভুলিয়ে দেন দুর্দান্ত কিছু করে। সেসব পরে, মেসির মতো ফুটবলার পেনাল্টি মিস করেন! না, মিস করাটাও তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। পরিসংখ্যান বলছে, আগেও ২৩ বার তিনি হাতছাড়া করেছেন পেনাল্টি।
মেসির এই পেনাল্টি হাতছাড়ার রোগ কতটা ভাবাচ্ছে হোর্হে সাম্পাওলিকে? আর্জেন্টিনা কোচ মেসির পেনাল্টি মিসের পরিসংখ্যানকে শুধুই সংখ্যা হিসেবে দেখছেন, ‘সামনে আমাদের আরও বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের গ্রুপটা অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। পেনাল্টি মিস ও লিওর (মেসি) ভুল আরেকটা সংখ্যা, এটি এখন অতীত। ফুটবল এমনই। দল হিসেবে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। আর বুঝতে হবে, আমাদের হাতে যে অস্ত্র আছে, তা দিয়ে যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব।’
মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে এখন আলোচনায় আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হল্ডরসন। আর্জেন্টিনা তারকার পেনাল্টি ফিরিয়ে দিতে কী ‘হোমওয়ার্ক’ করেছেন সেটি শোনালেন হল্ডরসন, ‘আমি ভালোভাবে অনুশীলন করেছি। মেসির অনেক পেনাল্টি দেখেছি। আগের পেনাল্টিগুলোয় আমি কেমন করি, সেটিও বারবার দেখেছি। চেষ্টা করেছি তাদের (যাঁরা পেনাল্টিগুলো নিয়েছিলেন) মনের অবস্থা বুঝতে, আমাকে নিয়ে তারা কী ভাবতে পারে। আমার মনে হয় আর্জেন্টাইনরা গোল না পেয়ে কিছুটা হতাশ। তবে দ্রুত আমাদের সমতায় ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার ধারণা, আমাদের রণকৌশলটা বেশ সফল।’