‘হাতি গর্তে পড়লে নাকি চামচিকাও লাথি মারে!’
এ প্রবাদ মেসির জেনে থাকার কথা নয়। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারের পর যা চলছে, মেসি হয়তো ব্যাপারটি এমনিতেই বুঝে নেবেন। তাঁর উদ্দেশে আন্তে রেবিচ যা বলছেন, তাতে এমনটা মনে না হয়ে উপায় নেই!
কী এমন সে কথা? বৃহস্পতিবার নাকি আর্জেন্টিনা এতটাই বাজে খেলেছিল যে মেসির সঙ্গে জার্সি বদল করতেও নাকি মন চায়নি ক্রোয়েশিয়ার উইঙ্গারের! কাবায়েরোর জঘন্য এক ভুলে ম্যাচের প্রথম গোল করা রেবিচের দাবি, ‘সত্যি বলছি, আমার বন্ধুর জন্য মেসির জার্সিটা পেতে চেয়েছিলাম। আমার বন্ধু লিওর খুব বড় ভক্ত। কিন্তু আর্জেন্টিনা দল এতটাই বাজে খেলেছে যে মেসির কাছে জার্সি চাওয়ার কথা আর মাথাতেই আনিনি।’
চলতি বিশ্বকাপে এখনো জ্বলতে উঠতে পারেননি মেসি, আর আর্জেন্টিনাও এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের এমন কথা তাই আপাতত গিলতে হচ্ছে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে।
মাঠে একেবারেই অসহায় আত্মসমর্পণ বলতে যা বোঝায়, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার অবস্থা হয়েছিল তাই। সেদিন যে আর্জেন্টিনা এত বাজে খেলবে, তা নাকি ভাবনাতেই ছিল না রেবিচের, ‘সত্যিকার অর্থে আমি আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম। অন্তত যারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলে, তারা তো দ্রুতগতির শারীরিক ফুটবলের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু নিকোলাস ওটামেন্ডিকে দেখুন, মাত্র চতুর্থ মিনিটে মানজুকিচ তাঁকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলে সে মাটিতে গড়াগড়ির ভান করছিল।’
আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা ব্যবহার জানেন না বলেও অভিযোগ রেবিচের, ‘ওদের ব্যবহারেও আমি খুব হতাশ। পরিচ্ছন্ন ফুটবলের অভাব দেখেও হতাশ হয়েছি। ওরা যেভাবে আমাদের খেপানোর চেষ্টা করছিল, সে কথা নাই-বা বলি। একজন ক্রীড়াবিদের জানা উচিত, কীভাবে পরাজয় মেনে নিতে হয়।’
শুধু মেসি ও আর্জেন্টিনাকে নিয়েই সমালোচনা করে থামেননি রেবিচ। রেফারিকেও দু-কথা শুনিয়ে দিয়েছেন। উজবেকিস্তানের রেফারির বিপক্ষে তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের মনে হয়েছে অনেক সিদ্ধান্তই আর্জেন্টিনার পক্ষে যাচ্ছে। তাই আমি অনেকটা নিশ্চিত ছিলাম, আমাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাতে পারবে না সে। আরে, এ রেফারির তো ফুটবল বুটই ছিল না পায়ে!’