>ইউরো বাছাইয়ে কাল রাতে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। দেশের হয়ে গোল পেয়েছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর এক গোল করলেই ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন জুভেন্টাস তারকা
মৌসুম প্রতি ৩০ গোল করে করলেই অনেকে খুশি থাকেন। ধরুন, এভাবে কেউ টানা ২০ মৌসুম ধরে গোল করল। তাহলে গোলসংখ্যা দাঁড়াচ্ছে মোট ৬০০। কিন্তু লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁদের ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি মৌসুমে চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশেরও বেশি গোল করেছেন। গোল করার দক্ষতা দুজনে কোন উচ্চতায় তুলেছেন ভাবা যায়!
সত্যিই ভাবা কঠিন। আর তাই ক্যারিয়ারে অফিশিয়াল ম্যাচে ৬০০ গোলের মাইলফলক মেসি-রোনালদো টপকে গেছেন বেশ আগেই। এখন তাঁদের সামনে নতুন আরেকটি মাইলফলক এবং তা ছোঁয়ার দৌড়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে রোনালদো প্রমাণ ব্যবধানে এগিয়ে। মেসির ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৬৭২। তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোর ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁতে দরকার ছিল মাত্র দুই গোল। কাল ইউরো বাছাইয়ে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে মাইলফলকটি ছোঁয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু অর্ধেক কাজ বাকি রেখেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
অর্ধেক কাজ বাকি রাখা মানে, রোনালদো দুই গোল পাননি। এক গোল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ৬৫ মিনিটে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে মনে রাখার মতো এক গোলই করেছেন তিনি। এ নিয়ে রোনালদোর ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা দাঁড়াল মোট ৬৯৯। ইতিহাসের ষষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁতে আর এক গোল চাই রোনালদোর। অলৌকিক কিছু না ঘটলে মেসির আগেই মাইফলকটির দেখা পেতে যাচ্ছেন রোনালদো। আর সোমবার ইউক্রেন-পর্তুগাল ম্যাচে তাঁর ভক্তদের সে আশা পূরণ হলেও হতে পারে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদো বেশ আগে থেকেই ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। পর্তুগালের হয়ে ১৬১ ম্যাচে গোলসংখ্যা ৯৪। এ পথে রোনালদো পেছনে ফেলেছেন হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফুটবলার ফেরেঙ্ক পুসকাসকে (৮৯ ম্যাচে ৮৪ গোল)। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়তে আরও দূরত্ব পারি দিতে হবে পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদোকে। ইরানের সাবেক ফরোয়ার্ড আলী দাঈয়ের গোলসংখ্যা ১০৯।
ইতিহাসে রোনালদোর চেয়ে বেশি গোল করেছেন মাত্র পাঁচ ফুটবলার। অস্ট্রিয়ার সাবেক ফরোয়ার্ড হোসেফ বাইকান প্রথম ৭০০ গোলের মাইলফলক টপকে যান। তাঁর মোট ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৮০৫। এরপরই রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। তাঁর অফিশিয়াল ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৭৭৯। বাকি তিন ফুটবলার—রোমারিও (৭৪৮ গোল), ফেরেঙ্ক পুসকাস (৭০৯ গোল) ও জার্ড মুলার (৭০১)।