>হাতে চোটের কারণে সেদিন ইন্টার মিলানের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। ছেলেকে নিয়ে বসেছিলেন দর্শকসারিতে। সেখানেই ছেলের কাছ থেকে পেলেন এক অপ্রত্যাশিত উপহার!
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ বহুদিনের। হয়তো এমন কোনো দিন যায় না, যেদিন লিওনেল মেসিকে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তাঁর এই দ্বৈরথ সম্পর্কে মনে করিয়ে দেওয়া হয় না। তবে দুই দিন আগে ইন্টার মিলানের সঙ্গে বার্সেলোনার ম্যাচ চলাকালে দর্শকসারিতে বসে থাকা চোটগ্রস্ত মেসিকে যে এই দ্বৈরথ সম্পর্কে মনে করিয়ে দিল, মেসি হয়তোবা নিজেও ভাবেননি সে অপ্রত্যাশিত মাধ্যমের কথা। সে আর কেউ নয়, মেসির বড় ছেলে, থিয়াগো মেসি।
হাতে চোট পাওয়া মেসি সেদিন ইন্টার মিলানের সঙ্গে নিজের দল বার্সেলোনার পুরো ম্যাচটাই দেখেছেন ভিআইপি গ্যালারিতে বসে থেকে। পুরোটা সময় তাঁকে সঙ্গ দিয়ে গেছে ছয় বছর বয়সী বড় ছেলে থিয়াগো মেসি। নিষ্পাপ মুখের হাস্যোজ্জ্বল ছেলেটা যেন একরকম মাতিয়ে রেখেছিল চারপাশ, কখনো শিশুসুলভ দুষ্টামি করে, কখনো বাবার সঙ্গে নিবিড় মনে খেলা দেখে, আবার কখনো কাগজে আঁকিবুঁকি করে। আর শেষের এই কাজটা করতে গিয়েই বাবা লিওকে একটু ‘অপ্রস্তুত’ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে থিয়াগো। আঁকাআঁকি করতে গিয়ে বাবার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বর্তমান ক্লাব জুভেন্টাসের লোগো এঁকে ফেলেছে সে!
কাগজে আঁকাআঁকি করে বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটু বাড়তি আদর বা বাহবা পাওয়ার প্রত্যাশা করাটা শিশুদের জন্য নতুন কিছু নয়, আর স্বাভাবিকভাবে থিয়াগোও সেটার ব্যতিক্রম নয়। তবে আঁকতে গিয়ে সে সবকিছু বাদ দিয়ে রোনালদোর ক্লাবের লোগোই আঁকবে, তা কি মেসি নিজেও আদৌ ভেবেছিলেন? মেসি নিজে এটা ভেবে সান্ত্বনা পেতে পারেন যে তাঁর নিজের ক্লাব বার্সেলোনার লোগো আঁকার চেয়ে থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোর ক্লাবের লোগো আঁকা একরকম দুধভাত! আর থিয়াগোও হয়তো তাতে সহজেই আকৃষ্ট হয়েছে, সে কারণেই ভিডিওতে দেখা গেছে মেসি নিজেও বেশ হেসেখেলে ছবিটা দেখে ছেলেকে আদর করছেন!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে থিয়াগো মেসির নিজের আঁকা ছবি বাবাকে দেখানোর ঘটনাটা বেশ সাড়া ফেলেছে, বিশেষ করে ইতালিতে। আর জুভেন্টাসের সমর্থকরা যে ঘটনাটায় বেশ আনন্দ পেয়েছেন, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!