সেই ফাইনালের পর কেটে গেছে অর্ধযুগ। তখন খেলতেন বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবে, বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে মানা হতো তাঁকে। ডাকা হতো 'জার্মান মেসি' বলে। এরপর এল সেই বিশ্বকাপ ফাইনাল। আসল মেসির বিপক্ষে নামলেন জার্মান মেসি। কিস্তিমাত করলেন তিনিই। ফাইনালে গোল করার পর কাঁদালেন বিশ্বজোড়া আর্জেন্টাইন ভক্তদের। মারিও গোটসাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হলো আরও বহুগুণ।
সে-ই শেষ। এরপর গোটসার ক্যারিয়ার গ্রাফটা নিম্নমুখী। বায়ার্ন ছেড়ে সাবেক ক্লাব ডর্টমুন্ডে গেলেন, সেখানেও কল্কে পেলেন না। অবশেষে শেষ হয়ে গেল ডর্টমুন্ডের সঙ্গে চুক্তিও। চুক্তি শেষের পর বেকার সময় কাটাচ্ছিলেন। অবশেষে সেই বেকারত্ব ঘুচেছে। এককালে এমন দুর্দান্ত খেলা এই খেলোয়াড়কে চুক্তি শেষের পর কোনো বড় ক্লাব বিনা মূল্যেও নিতে চায়নি। শেষমেশ 'ত্রাতা'র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ডাচ ক্লাব পিএসভি আইন্দহফেন।
ভিন্ন ধরনের একটা চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আমি। আমি আত্মবিশ্বাসী, ডাচ ফুটবলের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পারব।মারিও গোটসা
পিএসভির সঙ্গে গোটসার চুক্তিটা দুই বছরের। গোটসা নিজে যদিও বলেছেন, অনেক ক্লাবই চেয়েছিল তাঁকে। তবে তিনি বেছে নিয়েছেন পিএসভি আইন্দহফেনকে, 'এই গ্রীষ্মে অনেক ক্লাবের হয়ে খেলার জন্যই প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি অনুভূতিকে গুরুত্ব দিই, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিই। ভিন্ন ধরনের একটা চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আমি। আমি আত্মবিশ্বাসী, ডাচ ফুটবলের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পারব।'
আমি এই সময়টায় নিয়মিত অনুশীলন করেছি, নিজেকে নতুন রোমাঞ্চের জন্য প্রস্তুত করেছি, ফিট রেখেছি। আমার নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি। সামনের ম্যাচগুলোর জন্য মুখিয়ে আছি
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে আলো ছড়ানোর পর গোটসার ওপর নজর পড়ে বায়ার্ন মিউনিখের। পেপ গার্দিওলা কোচ হয়েই দলে নিয়ে এসেছিলেন গোটসাকে। গোটা ক্যারিয়ারেই বিভিন্ন চোটের সঙ্গে যুঝতে থাকা গোটসা বায়ার্নের মূল তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। ফিরেছিলেন ডর্টমুন্ডে। সেখানেও একই কাহিনি।
শেষমেশ আশ্রয় পিএসভিতেই।