>কিছুদিন আগেই বলেছেন, আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ হারবে। এখন বলেছেন, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সুযোগ আছে। মেসিদের প্রতি তাহলে আস্থা ফিরছে ম্যারাডোনার!
গত বিশ্বকাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ৭ মিনিট বাকি থাকতে গোল খেয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আর্জেন্টিনার। সেই দুঃখ আর্জেন্টাইনদের বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে আজও। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের খুব কাছে গিয়েও তা ছুঁতে না পারা, বিশ্বকাপ ট্রফিটাকে হাত–ছোঁয়া দূরত্বে রেখে চলে আসা—প্রতিটি দৃশ্য যেন আর্জেন্টিনার মানুষের চোখে ভাসে।
ডিয়েগো ম্যারাডোনাও এর বাইরে নন। ৩২ বছর পর তাঁর নেতৃত্বেই যে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ নিজেদের করতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যারাডোনা চান আরও একজন উঠে আসুক আর্জেন্টিনাকে গৌরবে ভাসিয়ে। বিশ্বকাপজয়ের গৌরবে আরও একজন হোন তাঁর সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী।
লিওনেল মেসি বীর তো প্রায় হয়েই গিয়েছিলেন। গত বিশ্বকাপেই তো তিনি ম্যারাডোনার মতোই বিশ্বকাপের ট্রফিটা উঁচুতে তুলে ধরতে পারতেন। কিন্তু তিনি পারেননি। বিশ্বকাপের পর আরও দুটি বড় টুর্নামেন্টে দলকে ফাইনালে তুলেও কাপ জেতাতে পারেননি মেসি। তাহলে কী মেসি ম্যারাডোনার মতো আর্জেন্টাইন দলকে উজ্জীবিত করতে পারছেন না? মেসিকে এ ব্যাপারে হতাশ হতে নিষেধই করেছেন ছিয়াশির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, ‘আমার উপদেশ থাকবে মেসির প্রতি, খেলে যাও আর ফুটবলটাকে উপভোগ কর। সমালোচকদের সমালোচনা শোনার কোনো প্রয়োজন হয় না, সেটা মেসি বিশ্বকাপ জিততে পারুক কিংবা না পারুক।’
গত বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার পর মেসির আর কিছুই প্রমাণের নেই বলেই মনে করেন ম্যারাডোনা, ‘বিশ্বকাপে কিছু করে দেখাতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। গত বিশ্বকাপেই তো মেসি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছে। তারও নিজেকে প্রমাণের কিছু নেই।’
কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে খুব একটা পছন্দ নয় ম্যারাডোনার। বলেছেন, এই কোচ সম্পর্ক তাঁর ধারণা খুবই কম। তবে সাম্পাওলির চেয়ে গোটা আর্জেন্টিনা দলের প্রতিই ভরসা ম্যারাডোনার, ‘সাম্পাওলি কীভাবে দলকে খেলাবে, সেটা আমি জানি না। সাম্পাওলি সম্পর্কেও আমার ধারণা কম। তবে আমি মনে করি, আর্জেন্টিনা দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ই দেশের জন্য নিজেদের উজাড় করে দেবে। আমি ওদের খুব ভালো করেই চিনি, জানি।’
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা প্রতিটি ম্যাচ হারবে—কিছুদিন আগে এমন কথা বলেছিলেন ম্যারাডোনা। সে বক্তব্য থেকে সরে এসে এখন মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সুযোগই দেখছেন, ‘আমার মনে হয়, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার যথেষ্ট সম্ভাবনাই আছে। কিন্তু আমি তাদের ফেবারিট হিসেবে রাখছি না। কারণ, ফেবারিটরা বিশ্বকাপ জেতে না।’