বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ত্রাহি ত্রাহি দশা আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের সঙ্গে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয় হাজার ফুট উচ্চতার এ মাঠে খেলা সব সময়ই কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে কোচ হোর্হে সাম্পাওলির ভরসা একজনই, লিওনেল মেসি। দলের অধিনায়কের কাছে কোচের চাওয়া একটাই, আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলুন বার্সেলোনার মেসি!
এ মৌসুমে ক্লাবে ১১ ম্যাচে ১৪ গোল করেছেন মেসি। প্রতি ম্যাচে গোল করে এবং সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে জয় নিশ্চিত করছেন তিনি। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সিতে সে ছন্দ দেখা যাচ্ছে না। শেষ দুই ম্যাচে গোল পাননি মেসি। গত দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে মাত্র একবারই বল পাঠাতে পেরেছে আর্জেন্টিনা, সেটাও এসেছে আত্মঘাতী গোলে!
বাঁচা-মরার ম্যাচে তাই ‘বার্সেলোনার মেসি’কে দেখার আশা করছেন সাম্পাওলি, ‘ক্লাবের হয়ে যেমন খেলে, দেশের পক্ষেও তেমন খেলা শুরু করা উচিত লিওর। ওকে কেন্দ্র করে দল সাজানো তো ভুল হবে। ৪-২-৩-১ ফরমেশন ওকে বক্সের আশপাশে খেলার এবং ওকে সেরাটা দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।’
মেসিকে খেলার স্বাধীনতা দিতেই পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামানো হয়নি জুভেন্টাসের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাওলো দিবালাকে। ম্যাচ শেষে দিবালাও সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘মেসির সঙ্গে খেলা কঠিন। কারণ আমাদের খেলার ধরন একই রকম।’
কিন্তু দিবালার এমন সরলীকরণ সমর্থকদের খেপিয়ে দিয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, মেসির কারণে খেলতে পারছেন না, এমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন দিবালা। কিংবা আর্জেন্টিনার বর্তমান অবস্থার জন্যও মেসিকেই দায়ী করছেন দিবালা।
কোচ অবশ্য দিবালার পক্ষেই আছেন, ‘দিবালা যা বলেছে, সেটা খারাপ কিছু না। সে বলেছে, মেসির সঙ্গে খেলতে পারলে সে খুশি। কিন্তু দলে জায়গা পাচ্ছে না। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে কেমন লাগে, সেটাই বলেছে সে। মেসির মতো খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলার সময় কোন পজিশনে খেলা উচিত, এটা বোঝা কঠিন।’
কঠিন কাজটাই এখন করতে হবে দিবালা, বেনোদেতো কিংবা আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগে যে–ই নামুক। না হলে যে ১৯৭০ সালের পর আরেকটি বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকতে হবে আর্জেন্টিনাকে!
সূত্র: এক্সপ্রেস ইউকে