লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসি। আজ নিজ নিজ দলের হয়ে মাঠে নেমে গোল পেয়েছেন দুজন
লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসি। আজ নিজ নিজ দলের হয়ে মাঠে নেমে গোল পেয়েছেন দুজন

মেসিকে পেছনে ফেললেন সুয়ারেজ

সাতবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। বার্সেলোনা কিংবা আর্জেন্টিনার হয়ে আরও কত অর্জন লিওনেল মেসির। আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল ছাড়াও এতদিন লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছিলেন তিনি। এবার লাতিন রেকর্ডটি হাতছাড়া হয়ে গেল তাঁর। তবে এতে হয়তো তিনি খুশিই হবেন। কারণ মেসির কাছ থেকে সেটি নিয়ে নিয়েছেন প্রিয় বন্ধু লুইস সুয়ারেজ!

রেকর্ডটা সুয়ারেজের দখলে যাওয়াটা ছিল সময়ের ব্যাপার। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এর আগের ম্যাচেই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে গোল করে মেসির সঙ্গে একই বন্ধনীতে ঢুকেছিলেন সুয়ারেজ। কাল উরুগুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে। এ ম্যাচে গোল করে মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন উরুগুইয়ান তারকা।

মেসিকে পেছনে ফেলেছেন সুয়ারেজ

মেসি ৫৮টি ম্যাচ খেলে ২৭ গোল করেছেন লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বে। সুয়ারেজ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তাঁর পাশে বসেছিলেন একটি ম্যাচ বেশি খেলে। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নিজের ৬০তম ম্যাচে মেসিকে পেছনে ফেলে রেকর্ড ২৮তম গোলটি করলেন সুয়ারেজ।

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি গোল কার, এটি নিয়ে কৌতূহল হতেই পারে সবার। রেকর্ডধারীর নাম ও তাঁর দেশটি একটু অখ্যাত। অন্তত ফুটবল দুনিয়ায় তো বটেই। গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজ ৩৯ গোল করে এ তালিকার শীর্ষে আছেন।

কাল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৬০ ম্যাচ খেলে নিজের ২৮তম গোলটি করলেন সুয়ারেজ

লুইজের পরের অবস্থানে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইউরোপীয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাঁর গোল ৩৬টি। এর পরের দুটি নাম এশিয়ার। তাও এক দেশ থেকে ৩৪ গোল করে তৃতীয় স্থানে আছেন ইরানের আলী দাইয়ি। চতুর্থ পোল্যান্ডের বায়ার্ন তারকা রবার্ট লেভানডফস্কি। পঞ্চম ইরানের আরেক তারকা করিম বাঘেরি। তাঁর গোল ২৮টি। কাল সুয়ারেজ মূলত বসেছেন তাঁর পাশে। মেসির অবস্থান এর পরপর।

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জয়ের পর ২২ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বের চতুর্থ স্থানে আছেন সুয়ারেজরা। এখনো ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে লড়াই করতে হবে উরুগুয়েকে। পরের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ পেরু (নিজেদের মাঠে) ও চিলি (চিলির মাঠে)। পেরু আবার ১ পয়েন্ট কম নিয়ে উরুগুয়ের কাঁধেই নিশ্বাস ফেলছে। আবার পেরুর চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে ৬ নম্বরে আছে চিলি। ফলে উরুগুয়ের সঙ্গে এই দুই দলের ম্যাচের ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু। দুই ম্যাচ পর এখনকার মতো চতুর্থ স্থান ধরে রাখতে পারলেই বিশ্বকাপে চলে যাবেন সুয়ারেজরা।