বিশ্বকাপের শুরুতেই ম্যারাডোনা সাম্পাওলির কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার কাছে বাজেভাবে হারার পর সাম্পাওলির কোচিং প্রশ্ন তুলেছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার জুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনও। সাম্পাওলির ব্যাপারে ভেরনের মূল আপত্তি একটি ব্যাপার নিয়েই। কীভাবে মাউরো ইকার্দি সুযোগ পেলেন না আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে?
সিরি ‘আ’তে ৩৪ ম্যাচে ২৯ গোল! এবার এমন দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ইকার্দি। এমন সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে কীভাবে দলের থেকে বাইরে রাখলেন সাম্পাওলি, তা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না ভেরন। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও ইকার্দি সুযোগ পেয়েছিলেন কেবল তিনটি ম্যাচে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে থাকার জন্য যত গোল থাকা দরকার, এর চেয়েও অনেক বেশি গোল করেছিল ইকার্দি। ওর স্কোয়াডে না থাকার কারণটি বাইরে থেকে সত্যিই বোঝার উপায় নেই। এটা বুঝতে হলে আমাকে সাম্পাওলির মাথার ভেতরে ঢুকতে হবে।’
সাম্পাওলির এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ করেছে সাবেক মিডফিল্ডারকে। কতখানি রাগ পুষে আর্জেন্টিনার খেলা দেখছেন সেটা ভেরনের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, ‘ইন্টার মিলানের হয়ে এত গোল করার পরও ও কেন দলে সুযোগ পেল না, তা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়। এমন তো না যে ওর বয়স খুব বেশি হয়ে গেছে। তাহলে কেন ও দলে সুযোগ পায়নি?’
নাইজেরিয়া-আর্জেন্টিনার ম্যাচেই এখন আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, এ ম্যাচে জিততে না পারলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যাবে। তবে এর জন্য মেসি-আগুয়েরো সবাইকেই এক হয়ে খেলতে হবে। তবে মেসির খেলা নিয়ে ভেরন মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি, ‘আমি আশা রাখছি আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারবে। এটি মোটেও তাদের জন্য সহজ পরিস্থিতি নয়। কিন্তু মেসির কী এমন হয়েছে? ও এমন নিষ্প্রভ কেন? এর উত্তর শুধু মেসিই বলতে পারবে। আমি আশা করি ও পুরো দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারবে, আর দলের খেলোয়াড়েরাও ওকে সঙ্গ দেবে। তবে একজন খেলোয়াড় কখনোই পুরো দলের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না।’