বার্সেলোনার ইতিহাসকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি মেসি-পূর্ব ও অন্যটি লিওনেল মেসি-সমৃদ্ধ। একটি ক্লাবের ট্রফি ক্যাবিনেটের চেহারা যে শুধু একজন খেলোয়াড়ের আবির্ভাবেই বদলে ফেলা যায়, সেটা মেসিই দেখিয়েছেন। ক্লাবের রূপ বদলে দেওয়া এমন প্রভাব ইতিহাসে শুধু আর একজন দেখাতে পেরেছেন, আরেক আর্জেন্টাইন আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। তাঁকে নেওয়ার জন্য রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার লড়াই তো কিংবদন্তির অংশ হয়ে আছে। মেসিকে নিয়ে কি এমন কোনো গল্প নেই?
মুন্ডো দেপোর্তিভোর প্রতিবেদন মানলে, তেমন এক গল্প আজই শুনে ফেলছেন।। মেসিকে পাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। মধ্যপ্রাচ্যের অর্থে বলীয়ান হওয়ার পর থেকেই কখনো মেসি কখনো বা রোনালদোর দিকে দৃষ্টি দিয়েছে তারা। তবে মেসির দিকেই তাদের আগ্রহ সব সময় বেশি ছিল। এ পর্যন্ত তিনবার সরাসরি দলবদলের প্রস্তাব পাঠিয়েছে তারা। এর মাঝে ২০১৭ সালের প্রস্তাবটি তো ছিল অবিশ্বাস্য অঙ্কের। মেসিকে বার্ষিক ৫০ মিলিয়ন ইউরো বেতনই শুধু দিত না তারা, চুক্তি স্বাক্ষরের বোনাস হিসেবেও নাকি ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিতে চেয়েছিল দলটি!
এসব খবর আড়ালে চলে গেছে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের পরই। কিন্তু গতকাল মুন্ডো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সিটির মালিক খালদুন আল মুবারককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন খেলোয়াড়কে কিনতে না পারায় সবচেয়ে হতাশ হয়েছেন তিনি। খালদুন বলেছেন, ‘মেসি। আমরা গার্দিওলাকে মেসির সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলাম। আমরা বার্সেলোনার তিন গুণ বেতন (বর্তমান চুক্তির আগের) দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনো রাজি হয়নি।’ এ প্রতিবেদন অনুযায়ী মেসি সপ্তাহে ১ মিলিয়ন ইউরোরও অনেক বেশি অর্থ পেতেন তখন।
তবে ম্যানচেস্টার সিটি এ প্রতিবেদনকে অসত্য বলছে। টুইটারে ওই প্রশ্নোত্তরের ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রশ্নোত্তরে খালদুন হাসতে হাসতে মেসির নাম বলছেন। এরপরই ভিডিও শেষ হয়ে গেছে। সিটি বলছে, খালদুন এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি। মুন্ডো দেপোর্তিভোর দেওয়া তথ্য ভুল।