বার্সেলোনায় বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে লিওনেল মেসি
বার্সেলোনায় বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে লিওনেল মেসি

মেসিকে ছেড়ে অনুতপ্ত নন লাপোর্তা

হোয়ান লাপোর্তার ভাগ্য খারাপ। এমন এক তকমা কপালে জুটেছে, যা বার্সেলোনা-সংশ্লিষ্ট কেউই তা চাইবেন না। তিনি যখন বার্সেলোনার সভাপতি হলেন, মেসি তখন ক্লাব ছেড়ে গেলেন। একজন দায়িত্ব নিলেন আর দলের সেরা তারকা চলে গেল—এমন অবস্থায় কে-ই বা পড়তে চান! লাপোর্তার অবস্থা তেমনই। তাঁকে এই ‘দোষ’ মাথায় নিয়ে চলতে হবে বাকি জীবন।


ক্লাবের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম খেলোয়াড়, যিনি কখনো বার্সেলোনা ছাড়বেন বলেই মনে হয়নি, সেই মেসির গায়েই এখন বার্সেলোনার নীল-লাল জার্সি নয়, শোভা পায় পিএসজির গাঢ় নীল জার্সি।

বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা

ব্যাপারটা কি লাপোর্তাকে পোড়ায় না? অবশ্যই পোড়ায়। বার্সা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটিই স্বীকার করেছেন লাপোর্তা, ‘সিদ্ধান্তটা নিয়ে যদি বলতেই হয়, আমি বলব, আমার জীবনের সবচেয়ে মন খারাপের সিদ্ধান্ত ছিল মেসিকে যেতে দেওয়া।’


এতই যদি মন খারাপ হয় মেসির যাওয়াতে, তাহলে তাঁকে লাপোর্তা যেতে-ই বা দিলেন কেন! কোনো পথই কি খোলা ছিল না মেসিকে ধরে রাখার? নাকি লাপোর্তা নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেননি?

বার্সা সভাপতি অবশ্য নিজের দোষ দেখছেন না। ক্লাবের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যেটি করা দরকার, সেটাই তখন করেছেন বলে দাবি করেন।

তাই কষ্ট পেলেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মোটেও অনুতপ্ত নন বার্সেলোনার সভাপতি, ‘মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি মোটেও অনুতপ্ত নই। আমরা সব সময় বার্সাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখি। আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় কিংবা যেকোনো কোচের চেয়েও বড় হলো বার্সেলোনা।’

মেসি এখন পিএসজির

মেসির চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন এক চক্র শুরু হয়েছে বার্সেলোনায়। আর সেটাই আশাবাদী করে তুলেছে বার্সেলোনাকে, ‘মেসি যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল ভবিষ্যতে আর কিছুই হবে না কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়। যাঁরা বার্সেলোনাকে ভালোবাসেন, তাঁরা জানেন, বার্সেলোনার ঐতিহ্য চলমান। পরিশ্রম ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা আবারও সফলতার পথে ফিরে আসব।’