রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে বার্সেলোনা ছিল নেইমারময়। চারটি গোল তো করেছিলেনই, লুইস সুয়ারেজকে দিয়েও গোল করিয়েছেন। পুরো খেলায় প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। দলের আক্রমণভাগের অঘোষিত নেতা হয়ে উঠেছিলেন সেদিন। মেসির উত্তরসূরি হিসেবে যাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, সেই নেইমারের এমন রূপে দেখা দেওয়ায় খুশি বার্সা শিবির। কিন্তু তাই বলে এখনই নেইমারকে বার্সার নেতা মানতে নারাজ কাতালান ক্লাবটি। নেতা হিসেবে তাদের তো বিশ্বের সেরা অস্ত্রটিই আছেই।
নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকছেন লিওনেল মেসি। সবকিছু ঠিক থাকলে ‘এল ক্লাসিকো’তে ফেরার কথা এই আর্জেন্টাইন তারকার। এর মাঝে বার্সেলোনাকে আরও পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে। এর মধ্যে কয়েক ম্যাচে বার্সা খোঁড়াচ্ছিল বলে মেসিকে নিয়ে উঠেছিল হাহাকার। কিন্তু ঠিকই জ্বলে উঠেছেন নেইমার।
তবে কি নতুন নেতা পেয়ে গেল বার্সেলোনা? ব্রাজিল দলের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তো বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর দখলে। কিন্তু কাতালান ক্লাবটি এখনই নেইমারের কাঁধে এত বড় দায়িত্ব দিতে রাজি নয়। কোচ লুই এনরিকে যেমন নেইমারকে এখনই বার্সার নেতা মানতে রাজি নন, ‘আমরা দল হিসেবেই খেলতে চাই। আমাদের নতুন কোনো নেতার দরকার নেই, কারণ মেসির মতো নেতা আমাদের দলে আছে।’
মেসি-নেইমারদের সতীর্থদের চিন্তা ভাবনাও এনরিকের মতোই। মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটস বললেন, ‘ওর নেতা হওয়ার সামর্থ্য আছে। বিশেষ করে মেসির না থাকায় নেইমারের সামর্থ্য আরও ভালো করে বোঝা যাচ্ছে। সে হচ্ছে ওই ধরনের খেলোয়াড়দের একজন, যে দলের মনোবল বাড়াতে পারে। কিন্তু মেসির অভাব পূরণ করতে পারবে না কেউ। সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। ওর অভাব পূরণ করতে আমাদের সবাইকেই মাঠে একটু বেশি দিতে হচ্ছে। আমরা সেটি দিলেও কিন্তু এখনো মেসির অভাব বোধ করছি।’
আক্রমণভাগের এমএসএন ত্রয়ীর-এর তৃতীয় জন সুয়ারেজও বলছেন, ‘দলে সবাই নিজের ভূমিকা জানে। মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, কারও পক্ষেই তাঁর জায়গা নেওয়া সম্ভব নয়।’ সূত্র: গোলডটকম ও ইএসপিএন।