>মোহাম্মদ সালাহ কি বিশ্বকাপের প্রথম থেকেই খেলতে পারবেন? মিসরের কোচ হেক্টর কুপার মনে করেন ব্যাপারটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
মিসর কি কেবল মোহাম্মদ সালাহর ওপরই নির্ভরশীল? লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরেই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত কিছু করার স্বপ্ন দেখছিল ১৯৯০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে নাম লেখানো মিসর। ‘দেখছিল’ বলার কারণ, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের পর সেই স্বপ্নটা কিছুটা ফিকে হওয়ারই শঙ্কার মধ্যে ছিল। রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর তাঁর বিশ্বকাপই তো সংশয়ের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল এই তারকার। তবে শঙ্কা পেছনে ফেলে সালাহকে নিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নিবিড় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার পথেই তিনি। মিসর কোচ হেক্টর কুপার তো মনে করেন সালাহকে উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ থেকেই পাবে তাঁর দল।
অন্তত একটি ম্যাচে পাওয়া যাবে—এমনটা মনে করেই সালাহকে ২৩ জনের প্রাথমিক দলে রাখা হয়েছে। স্কাই স্পোর্টসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোচ কুপার জানিয়েছেন, এই মৌসুমে ইংলিশ লিগের সেনসেশন তাঁর পুনর্বাসনের শেষ ধাপেই আছেন, ‘তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। শেষ ধাপেই সে আছে। আমরা তাকে উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই পেতে চাই। তবে সেটি কঠিন চাওয়া। তবে আমার মনে হয় অসম্ভব কিছু নয়।’
মিসর সালাহকে ঘিরে স্বপ্ন দেখলেও কোচ কুপার চান তাঁর প্রতি নির্ভরশীলতা কমাতে, ‘আশা করছি, সালাহর চোট আমাদের খুব প্রভাবিত করবে না। সালাহ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সে যদি যথাসময়ে সেরে না ওঠে, তাহলে আমরা তার বদলি খেলোয়াড় নিয়ে তৈরি থাকব। এটাই ফুটবল। যেকোনো খেলোয়াড়ই চোটে পড়তে পারে। আমাদের তাকে বদলি করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে আশা করছি তেমনটা ঘটবে না।’
লিভারপুলের হয়ে এই মৌসুমে ৪৪ গোল করেছেন সালাহ। ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও তিনি। প্রথম আফ্রিকান হিসেবে এই পুরস্কার জেতার গৌরবটা আরও চমৎকারভাবে তিনি উপভোগ করতে পারবেন, যদি বিশ্বকাপে কিছু করতে পারেন। সেই সুযোগ তিনি প্রথম থেকেই পাবেন কি না, সেটা ভবিষ্যৎই বলবে। আপাতত আশায় বুক বাঁধতে তো ক্ষতি নেই!