মিসরের গর্ব তিনি। ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় মুসলমানদের নতুনভাবে পরিচিত করায় তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। ২৮ বছর পর মিসর বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছে মোহাম্মদ সালাহর সুবাদে। সেই সালাহই এখন মিসর দল থেকে নাম কাটিয়ে নেবেন? এমন শঙ্কার কথাই শোনাচ্ছে সিএনএন।
বিশ্বকাপে অনুশীলনের জন্য চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাজধানী গ্রোজনিতে বেস ক্যাম্প করেছিল মিসর। এর মধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে মিসরের। সালাহদের তাই গতকাল শুক্রবার বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ। এরপরই সালাহকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কাদিরভ। এ ঘটনার পরই মিসর জাতীয় দলের হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সালাহ। অন্তত বার্তা সংস্থা সিএনএন এমন সংবাদই জানিয়েছে।
এবার বিশ্বকাপে রোনালদো-মেসি-নেইমারদের সঙ্গে সম্ভাব্য তারকা হিসেবে উচ্চারিত হয়েছে সালাহর নামও। কিন্তু চোটের কারণে প্রথম ম্যাচে নামতে পারেননি, দলও হেরেছে ৯০ মিনিটের গোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেছেন, গোলও করেছেন, তবু দলের হার এড়াতে পারেননি। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকেও গেছে মিসর।
কিন্তু দলের ব্যর্থতা নয়, সালাহ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে যতি টানার কথা ভাবছেন রাজনৈতিক কারণে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর সালাহ কাদিরভের সঙ্গে দেখা করার পর সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। এরপর নাগরিকত্বের ঘটনায় সেই আলোচনা আরও উসকে দেওয়া হয়েছে। নিজেকে রাজনৈতিক গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে দিতে চান না সালাহ। দরকার হলে মিসরের জাতীয় দলে আর না খেলার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে পারেন বলে জানিয়েছে সালাহর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র।