অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরুটা হলো অসাধারণ এক জয় দিয়ে। নেপালের ললিতপুর আনফা একাডেমি মাঠে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশের ছেলেরা। প্রথমার্ধে ৪ গোলের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে দিয়েছে ৫ গোল। ৯ গোলের বড় ব্যবধানের এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
স্কোর লাইনের ৯-০ গোলের ডিজিটই বলে দিচ্ছে কিশোরদের বাহাদুরি। বাংলাদেশের সামনে একেবারেই পাত্তা পায়নি দ্বীপ রাষ্ট্রের খেলোয়াড়েরা। স্কিল , ফিটনেস, জয়ের মানসিকতা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে ছিল আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। সঙ্গে আরেকটা বিষয়ও ফুটে উঠেছে, তা হলো মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বয়সের পার্থক্য! দুজনের পা থেকে এসেছে হ্যাটট্রিক। চার গোল করেছে নিহাত জামান উচ্ছ্বাস, জোড়া গোল করেছে করেছে রাসেল আহমেদ ও আশিকুর রহমান এবং একটি গোল এসেছে মেহেদী হাসানের পা থেকে।
হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নিতে মাত্র ২৩ মিনিট সময় নিয়েছে নিশাত আহমেদ। হ্যাটট্রিকের যে তিন গোলের বর্ণনা না দিলেই নয়। তিন মিনিটে রাইটব্যাক কামরান উদ্দিনের লম্বা পাস রাসেল আহমেদ হেড করে নামিয়ে দিলে গোলমুখ থেকে পা লাগিয়ে গোলের খাতা খুলে নিশাত, ১-০। আট মিনিট পরেই ২-০ করেছে দুর্দান্ত সলো গোলে। ডান প্রান্ত দিয়ে তিন ডিফেন্ডার কাটিয়ে বক্সে প্রবেশ করে জোরালো শটে গোল। হ্যাটট্রিকটা পেয়েছে প্রতিপক্ষ এক মিডফিল্ডারের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে। মালদ্বীপ মিডফিল্ডার মিস পাস ধরে বক্সে প্রবেশ করে আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জালে।
২৩ মিনিটেই নিশাতের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে বাংলাদেশের নামের পাশে ৩-০। এর পরে কী আর ম্যাচের উত্তেজনা থাকে। টপাটপ গোল করেই গেল রাসেল , আশিকুররা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ৪-০ করেছে মেহেদী। বিরতি থেকে আবারও নিশাতের গোল। চার গোল করেই থামে এই হ্যাটট্রিকম্যান। এর পরের চার গোল ভাগে যোগে করেছে রাসেল ও আশিকুর। রাসেলের গোল দুইটি ৪৭ ও ৬৬ মিনিটে এবং আশিকুরের গোল ৮০ ও নির্ধারিত সময়ের যোগ করা সময়ে।
এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। আগামী সোমবার নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামবে অনূর্ধ্ব ১৫ দল। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় মালদ্বীপের। প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে তাঁদের হার ছিল ৪-০ গোলে।