প্রিমিয়ার লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ড্র করে ২১ আগস্ট মেজাজ হারিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবলাররা। ড্রেসিংরুমে ঢোকার আগে তাঁদের উদ্দেশে গালি দেওয়া ব্রাদার্সের সমর্থক ও বলবয়দের পিটিয়েছেন ভিআইপি গ্যালারিতে গিয়ে।
এমন গুরুতর অপরাধের পরও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে জরিমানা করেছে মাত্র এক লাখ টাকা! আর শেখ জামালের দুই ফুটবলার শাকিল আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই শাকিল ও ফয়সালকে প্রাথমিকভাবে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। ২৪ আগস্ট রহমতগঞ্জের বিপক্ষে তাই খেলতে পারেননি এই দুজন। অবশ্য আগের ম্যাচেই নিষিদ্ধ হওয়ায় আজ মোহামেডানের বিপক্ষে খেলতে বাধা নেই এ দুজনের।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে মাত্র ১ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি দলটির সহকারী কোচ হাসান আল মামুনকে জরিমানা করা হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা! আর ব্রাদার্সকে জরিমানা করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা! পাশাপাশি এই ক্লাবের বলবয় আনোয়ার হোসেন ও রাজু আহমেদকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
আর ব্রাদার্সের ফুটবলার ছমির উল্লাহকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এক ম্যাচের জন্য। অবশ্য শাকিল ও ফয়সালের মতো আগেই তাঁকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় শাস্তি শেষ ছমির উল্লাহরও।
ডিসিপ্লিনারি কমিটি লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকেও এক লাখ টাকার আর্থিক জরিমানা করেছে। ৯ আগস্ট শেখ জামালকে হারানোর পর বসুন্ধরা কিংস মাঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উত্সব করেছে। কিন্তু বৃষ্টিভেজা এই মাঠে কিছুক্ষণ পর আরেকটি ম্যাচ ছিল। ম্যাচ কমিশনারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিরোপা উৎসব করায় কিংসকে এই জরিমানা করেছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
রহমতগঞ্জ ফুটবল দলকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। ১৪ আগস্ট মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের ৭১ মিনিটে রেফারির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রহমতগঞ্জের ফুটবলাররা। মোহামেডান কর্নার থেকে গোল করলেও রেফারির কাছে গিয়ে রহমতগঞ্জের ফুটবলাররা দাবি করেন, গোলটি অবৈধ ও হ্যান্ডবল ছিল। এ জন্য রেফারিকে ম্যাচ পরিচালনা করতে বাধা দিয়ে চার মিনিট খেলা বন্ধ রাখেন তাঁরা।
প্রতি মিনিট খেলা বন্ধের জন্য তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। সে হিসাবে বাফুফের হিসাব বিভাগে তাদের জমা দিতে হবে ১২ হাজার টাকা।