পেনাল্টি নেওয়ার জন্য সাদিও মানে খুব একটা আস্থার জায়গা নয়। ৯০ মিনিটের খেলায় ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ক্যারিয়ারে ১২টি পেনাল্টি নিয়েছেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড। এর মধ্যে ৫টিই তিনি মিস করেছেন। মানের পেনাল্টি মিসের হার প্রায় ৪২ শতাংশ।
পেনাল্টি এত বেশি মিস করেন বলেই লিভারপুলের হয়ে তাঁর সাধারণত পেনাল্টি নেওয়া হয় না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটিতে পেনাল্টি নেওয়ার মূল খেলোয়াড় জেমস মিলনার। তিনি শুরুর একাদশে না থাকলে বা ম্যাচে না খেললে লিভারপুলের পেনাল্টি নেন মোহামেদ সালাহ।
কাল এফএ কাপের ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে পঞ্চম কিকটি নেন মানে। যথারীতি তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন। কিকটি তিনি নিয়েছেন এদুয়ার্দ মেন্দি যে দিকটায় শক্তিশালী, সেই বাঁ দিকে। একদম নাগালের মধ্যে খুবই দুর্বল শট। সেনেগাল দলের সতীর্থ মানের শট ঠেকাতে তাই মোটেই কষ্ট হয়নি মেন্দির। মানের এই পেনাল্টি মিসের ৫০ শতাংশ দায় নিয়েছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুগেরন ক্লপ।
পেনাল্টি নেওয়ায় মানে একটু ‘দুর্বল’ বলেই হয়তো টাইব্রেকার শুরুর আগে তাঁকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্লপ। সেই পরামর্শ অনুযায়ী শট নিতে গিয়েই ব্যর্থ মানে! এ কারণেই কিছুটা দায় নিজের কাঁধে নিচ্ছেন লিভারপুল কোচ।
মানের পেনাল্টি মিস নিয়ে ক্লপ বলেছেন, ‘সাদিওর পেনাল্টি মিসের ৫০ শতাংশ দায় নিশ্চিত করেই আমার। কারণ, ছেলেদের তাদের মতো করে কাজগুলো করতে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, “গোলকিপার তোমাকে খুব ভালো করে চেনে ও জানে। তাই ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করো।”’
মানে হয়তো শটটি মেন্দির ‘দুর্বল’ দিক ডানেই নিতেন। কিন্তু ভিন্ন কিছু করতে গিয়ে সেটি তিনি নিয়েছেন মেন্দির বাঁ দিকে। এ ঘটনা থেকে একটা উপলব্ধিও হয়েছে ক্লপের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমার জীবনে মাঝেমধ্যে মনে হয়েছে, চুপ করে থাকাটাই ভালো!’
মানের পেনাল্টি মিসের পরও অবশ্য চেলসিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। ১৪ শটের টাইব্রেকারে চেলসির সিজার আজপিলিকেতা ও ম্যাসন মাউন্ট গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১২০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ম্যাচটি লিভারপুল জিতেছে ৬-৫ গোলে। ১৬ বছর এফএ কাপ জেতায় শিরোপা চতুষ্টয়ের আশাও বেঁচে রইল লিভারপুলের।