>ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হলো রিয়াল মাদ্রিদ।
মাঠের ভেতরে এবার ভুলে যাওয়ার মতো এক মৌসুম কাটিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে লিগ হাতছাড়া হয়েছে। টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর এ মৌসুমেই দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। এমন ব্যর্থ একটি মৌসুমের পরেও মাঠের বাইরে তাদের পসারের কিন্তু কমতি নেই। বেড়েছে তাদের ব্র্যান্ডের দর। বার্সেলোনা এই জায়গায় পিছিয়ে আছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে।
গত বছর এই খেতাব জিতেছিল ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু এবার ইউনাইটেডের কাছ থেকে তকমাটা কেড়ে নিয়েছে রিয়াল। গত এক বছরে রিয়ালের ব্র্যান্ড মূল্য বেড়েছে ২৭ শতাংশ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ক্লাব ছাড়লেও ক্লাবের বাণিজ্যিক জায়গাটি যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, এটি তার প্রমাণ। রিয়ালের ব্র্যান্ড মূল্য এখন ১.৬৪৬ বিলিয়ন ইউরো।
বার্সা এ তালিকায় নেই দ্বিতীয় স্থানেও। আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদের ব্র্যান্ড মূল্য ১.৪৭২ বিলিয়ন ইউরো। তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। ব্র্যান্ডমূল্য ১.৩৯৩ বিলিয়ন ইউরো। জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ আছে চতুর্থ স্থানে। তাদের ব্র্যান্ড মূল্য ১.৩১৪ বিলিয়ন ইউরো। এর পরের দুই স্থান দুই ইংলিশ ক্লাবের দখলে আছে। পঞ্চম স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির ব্র্যান্ড মূল্য ১.২৫৫ বিলিয়ন ইউরো ও লিভারপুলের ব্র্যান্ড মূল্য ১.১৯১ বিলিয়ন ইউরো।
এ বছরে শুধু টিকিট বিক্রি করেই রিয়াল মাদ্রিদের লাভ হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন ইউরোর মতো, যা একটা রেকর্ড। এত টাকা হাতে নিয়ে মাদ্রিদের জায়ান্টরা নিশ্চয়ই নতুন মৌসুমে দলকে আরও শক্তিশালী করতে নামবে! এর মধ্যেই পোর্তো থেকে ব্রাজিলিয়ান সেন্টারব্যাক এডার মিলিতাওকে দলে এনেছে তারা! নজরে রাখছে এডেন হ্যাজার্ড, লুকা জোভিচ, নেইমার, পল পগবার মতো তারকাদের।