মাঝমাঠ নিয়েই লিভারপুলের চিন্তা
মাঝমাঠ নিয়েই লিভারপুলের চিন্তা

বলছেন বেনিতেজ

মাঝমাঠের লড়াইয়ে পিছিয়ে লিভারপুল

রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল—দুটিই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। দুই ক্লাবেরই ঐতিহ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন অনেক খেলোয়াড়, ম্যানেজার।

খেলোয়াড় হিসেবে জাবি আলোনসো, স্টিভ ম্যাকম্যানামান, মাইকেল ওয়েন, নিকোলাস আনেলকা, নুরি সাহিন, ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস, আলভারো আরবেলোয়া, ফাবিনিও ও জের্সি দুদেকরা দুই দলের হয়ে খেলার কীর্তি যেমন গড়েছেন, রাফায়েল বেনিতেজের মতো কোচের আছে দুই দলকেই কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা।

লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী দলটার কোচ ছিলেন রাফায়েল বেনিতেজ।

সে হিসেবে আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালটা বেনিতেজের মনে অন্য রকম এক আবহের জন্ম দিচ্ছে। নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোচিং করানো ক্লাবগুলোর মধ্যে দুটি লড়বে ইউরোপের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার আশায়, ম্যাচের আগে ‘সমর্থক’ বেনিতেজের মনে টানাপোড়েন চলাই স্বাভাবিক।

জেরার্ড হুলিয়ের যাওয়ার পর লিভারপুলের কোচ হিসেবে চাকরি করেছেন পাঁচ বছর, জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ-এফএ কাপ। সে তুলনায় বেনিতেজের রিয়াল-অধ্যায়টা খানিক ম্লান। তা হোক, তাতে এই দুই দলকে কোচিং করানো একমাত্র কোচ হিসেবে তাঁর কীর্তিটা খাটো হয়ে যাচ্ছে না। ম্যাচের আগে সে বেনিতেজই জানিয়েছেন, একটু হলেও ফেবারিট লিভারপুল।

রিয়ালে ফেরার পর

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেনিতেজ কারণও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘আমরা যদি শুধু তথ্য-উপাত্ত দেখে বিবেচনা করি, তাহলে লিভারপুলই একটু এগিয়ে। তাঁরা এমন এক ক্লাবের বিপক্ষে লড়বে যাঁরা ফাইনাল খেলতে অভ্যস্ত। বলের দখলের লড়াইয়ে সাধারণত লিভারপুলই এগিয়ে থাকে, দেখা যায়, ওদের পায়ে ম্যাচের ৬১ শতাংশ সময়ে বল থাকে। রিয়ালের খেলোয়াড়দের পায়ে বল থাকে একটু কম সময়ে, ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ সময়ে। গত কয়েক বছরে লিভারপুল এদিক থেকে এগিয়ে গিয়েছে নিজেদের সামগ্রিক মান উন্নয়নের কারণে। তাঁদের দলে এখন আগের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় খেলে।'

তবে রিয়ালের শক্তির জায়গাটাও উল্লেখ করেছেন বেনিতেজ, ‘রিয়াল মাদ্রিদ আবার প্রতি–আক্রমণ বেশি করে। ভিনিসিয়ুস ও রদ্রিগোর মাধ্যমে। আমার মনে হয় ওদের আক্রমণের ২৫ শতাংশই প্রতি–আক্রমণ থেকে আসে, লিভারপুলের ক্ষেত্রে যেটা ১৯ শতাংশ। ক্লপ দুর্দান্ত কাজ করছে ওখানে। লিভারপুলও উন্নতি করেছে অনেক।’

আর এই প্রতি–আক্রমণ সামলাতেই গিয়েই লিভারপুলের দুর্বলতা বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘তবে লিভারপুলেরও কিছু দুর্বলতা আছে। ওদের দুই ফুলব্যাক (রবার্টসন ও অ্যালেক্সান্ডার-আরনল্ড) অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। রবার্টসন নিরন্তর দৌড়াতে পারে, ট্রেন্টের ক্রস দেওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ। কিন্তু ওরা ওপরে উঠে এলে পেছনে ফেলে আসা জায়গাটায় প্রতি–আক্রমণের মাধ্যমে ভিনিসিয়ুসের মতো খেলোয়াড়েরা ফায়দা লুটতে পারে। আমি জানি, ক্লপ ও আনচেলত্তি দুজনই এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছে।’

তবে মাঝমাঠের চোট সমস্যা ভোগাতে পারে লিভারপুলকে, ‘ফাবিনিও বা থিয়াগো আলকানতারা যদি লিভারপুলের হয়ে না খেলে, সেটাও সমস্যা সৃষ্টি করবে লিভারপুলের জন্য। ফাবিনিও এমন একজন মিডফিল্ডার যে অধিকাংশ সময় বল উদ্ধার করে, আর থিয়াগো সামনে বল পাঠায়। ওরা না থাকলে লিভারপুল সমস্যায় পড়বে।’