সতীর্থদের মতো যুদ্ধবিরোধী টি–শার্ট পরেননি আয়কুত দেমির
সতীর্থদের মতো যুদ্ধবিরোধী টি–শার্ট পরেননি আয়কুত দেমির

তুর্কি ফুটবলারের প্রশ্ন

মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের জন্য ভিন্ন হিসাব কেন

‘যুদ্ধ বন্ধ করো’—রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর বেশির ভাগ ক্রীড়াবিদের বার্তা এটি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো থেকে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভারা এই বার্তাই দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতি। খেলার মাঠে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিসূচক টি-শার্ট পরেও মাঠে নামছে দলগুলো। ইউরোপের ক্রীড়াঙ্গন থেকে মোটামুটি প্রতিদিনই যুদ্ধবিরোধী বার্তা আসছে। তুরস্কের সেন্টারব্যাক আয়কুত দেমির তাঁদের মধ্যে ব্যতিক্রম।

তুরস্কের ফুটবলে দ্বিতীয় বিভাগের দল এরজুমোস্পোর রোববার আঙ্কারাগুজুর মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর আগে ‘নো টু ওয়ার’ বার্তা লেখা বিশেষ টি-শার্ট পরেছিলেন এরজুমোস্পোরের খেলোয়াড়েরা। দলটির অধিনায়ক দেমির এই টি-শার্ট পরেননি। ক্লাবের জার্সি পরেই ম্যাচ শুরুর আগে সতীর্থদের পাশে দাঁড়ান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে

মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। আমারও খারাপ লাগে। নিষ্পাপ মানুষগুলোর জন্য খারাপ লাগে। কিন্তু ওখানকার নিপীড়ন উপেক্ষা করে যাওয়া মানুষগুলোই এখন ইউরোপের ঘটনার জন্য আহাজারি করছেন।
আয়কুত দেমির, তুর্কি ফুটবলার

তুর্কি সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন দেমির, ‘মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। আমারও খারাপ লাগে। নিষ্পাপ মানুষগুলোর জন্য খারাপ লাগে। কিন্তু ওখানকার নিপীড়ন উপেক্ষা করে যাওয়া মানুষগুলোই এখন ইউরোপের ঘটনার জন্য আহাজারি করছেন। টি-শার্টটা আমার ভালো লাগেনি। কারণ, এগুলো ওসব দেশের জন্য বানানো হয়নি।’ দেমিরের জন্ম নেদারল্যান্ডসে। ৩৩ বছর বয়সী এ ফুটবলার তুরস্ক জাতীয় দলের হয়ে ২০১৩ সালে এক ম্যাচ খেলেছেন।

‘যুদ্ধকে না বলুন’ লেখা টি শার্ট নিয়ে মেজর লিগ সকার দেখতে এসেছেন এই আমেরিকান দর্শক

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বহুদিন ধরেই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফোর্বস’-এর হিসাবে ২০০৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার। এ সময়ের মধ্যে ২৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিক মারা গেছেন এবং ৫ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ষষ্ঠ দিন চলছে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ক্রীড়াবিদ এবং সাবেক কোচ-খেলোয়াড় এরই মধ্যে এই যুদ্ধের প্রতিবাদ করেছেন। ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড় যোগ দিয়েছেন যুদ্ধে।