২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ থেকে কাল রাতে ইউক্রেনের কাছে ২–০ গোলে হারে বসনিয়া–হার্জেগোভিনা। এ ম্যাচে বসনিয়া দলে দেখা যায়নি বার্সেলোনা মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচকে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পিয়ানিচকে আগেই জাতীয় দল থেকে বের করে দিয়েছে বসনিয়া–হার্জেগোভিনা ফুটবল। শৃঙ্খলাজনিত অপরাধের জন্য এ শাস্তি পেয়েছেন তিনি।
গত শনিবার ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৩–০ গোলে হারে বসনিয়া। এ ম্যাচের আগের রাতে ধূমপান ও মদ্যপান করেন ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার জন্য তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বসনিয়া কোচ ইভাইলো পেতেভ এ সিদ্ধান্ত নেন। দলীয় ভাবমূর্তির সঙ্গে পিয়ানিচের এমন আচরণ মানানসই নয়—এমন ভাবনা থেকেই তাঁকে দল থেকে বের করে দেন পেতেভ, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
তবে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে ছিলেন পিয়ানিচ। ৬৬ মিনিট পর্যন্ত খেললেও তাঁর পারফরম্যান্স মোটেও ভালো ছিল না। কোচ পেতেভ বাধ্য হয়েই তাঁকে তুলে নেন। শিস বাজাতে বাজাতে মাঠ ছাড়েন পিয়ানিচ।
বসনিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ক্লিক্স’ জানিয়েছে, পিয়ানিচকে বহিষ্কারের আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন পেতেভ। বার্সেলোনা থেকে এখন ধারে তাঁকে খেলাচ্ছে তুর্কি ক্লাব বেসিকতাস। কোচের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন পিয়ানিচ।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পিয়ানিচ কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ। বসনিয়া–হার্জেগোভিনা ফুটবল ফেডারেশন এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিবৃতি দিলেও কিছুক্ষণ পর তা অনলাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। কারণ অজানা।
ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগের রাতে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ক্লাবে গিয়েছিলেন পিয়ানিচ। সেখানে তাঁকে হুক্কা টানতে ও মদ্যপান করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন বসনিয়ান ফুটবলের সমর্থকেরা।