>নরমান হোয়াইটসাইড (সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক) ও লোথার ম্যাথাউস (সবচেয়ে বেশি ম্যাচ) রাশিয়া বিশ্বকাপটা আয়েশ করেই দেখতে পারেন। এই বিশ্বকাপে অন্তত তাঁদের রেকর্ড ভাঙছে না। মোটামুটি নির্ভাবনায় থাকতে পারেন জাস্ট ফন্টেইন (এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৩ গোল ও দিনো জফও (বিশ্বকাপজয়ী সবচেয়ে বয়সী অধিনায়ক)। কিন্তু এই কজনের বাইরে রাশিয়া বিশ্বকাপে অনেকের রেকর্ডই আছে হুমকিতে। ফুটবল সাময়িকী ফোরফোরটু খুঁজে বের করেছে সে রকমই কিছু রেকর্ড
ম্যারাডোনাকে ধাওয়া
বিশ্বকাপে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে ৬ গোল করেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডের দখলটা আর্জেন্টাইন ফুটবল-ঈশ্বরের। ২০১৪ বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে লিওনেল মেসি করেছেন ৪ গোল। আর ১ গোল করলেই মেসি ছুঁয়ে ফেলবেন দর্দি সারোসি, উই সিলার, কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে ও লোথার ম্যাথাউসকে। আর স্বদেশি কিংবদন্তিকে ছুঁতে মেসির প্রয়োজন ২ গোল।
বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটাও ম্যারাডোনার (১৬ ম্যাচ) দখলে। ৩৯ বছর বয়সী রাফায়েল মার্কেজ (১৪ ম্যাচ) মেক্সিকোর অধিনায়ক হলে রেকর্ডটা নতুন করে লেখার প্রয়োজন পড়তে পারে।
‘উঁচু বাঁধে’ কুপোকাত দ্রাগন?
২০১৪ বিশ্বকাপে জাপানের বিপক্ষে কলম্বিয়ার হয়ে ৪৩ বছর ৩ দিন বয়সে মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়েন ফরিদ মনদ্রাগন। ক্যামেরুনের রজার মিলাকে পেছনে ফেলে হয়ে যান বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়।
উরুগুয়ের বিপক্ষে মিসরের এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর দিন গোলরক্ষক এসাম এল-হাদারির বয়স হবে ৪৫ বছর ৫ মাস। ‘উঁচু বাঁধ’ ডাকনামের এল-হাদারির বয়স বিশ্বকাপের তিন কোচের চেয়েও বেশি-আলিউ সিসে (সেনেগাল, ৪২ বছর), ম্লাদেন ক্রস্তাইচ (সার্বিয়া, ৪৪) ও রবার্তো মার্টিনেজ (বেলজিয়াম, ৪৪)।
ইতালি, ব্রাজিলের পর জার্মানি?
বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত (অতিরিক্ত সময় বা পেনাল্টিতে হলেও) থেকে রাশিয়া যাবে জার্মানি। বিশ্বকাপে টানা ছয়টির বেশি জয় আছে দুটি দলের-ইতালি (৭) ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ মিলিয়ে এবং ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপ মিলিয়ে ব্রাজিলের জয় টানা ১১ ম্যাচে।
মুখোমুখি যখন বুড়োরা
বিশ্বকাপে দ্বিতীয় পর্বে উরুগুয়ে ও পর্তুগালের দেখা হলেই একটা নতুন রেকর্ড হবে। দুই দলের কোচ অস্কার তাবারেজ ও ফার্নান্দো সান্তোসের সম্মিলিত বয়স হবে ১৩৫ বছর ৩ মাস। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে মুখোমুখি দুই কোচের সম্মিলিত বয়সের রেকর্ড গড়বেন তাবারেজ-সান্তোস।
আগের রেকর্ডেও ভাগ আছে তাবারেজের। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে রয় হজসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাবারেজের। সেই ম্যাচে দুজনের বয়স ছিল ১৩৪ বছর ২ মাস। তাঁরা দুজনে পেছনে ফেলেছিলেন গ্রিসের কোচ অটো রেহেগাল ও নাইজেরিয়ার লার্স লাজারব্যাককে (দুজনের মিলিত বয়স ছিল ১৩৩ বছর ৯ মাস)।
পঞ্চকের ক্লাব
একাধিক বিশ্বকাপে ৫ গোল-এই কৃতিত্ব অনেক ফরোয়ার্ডকে হাতছানি দিয়েছে। যে কীর্তি গড়তে পারেননি পেলে, রোনালদো, জার্ড মুলাররাও। দুটি বিশ্বকাপে ৫টি করে গোল মাত্র তিনজনের-তেওফিলো কুবিলাস ও মিরোস্লাভ ক্লোসা। টমাস মুলার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে করেছেন পাঁচটি করে গোল। মুলারের সামনে সুযোগ প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের তিন আসরে ৫টি করে গোল করার।
রদ্রিগেজের সামনে মুলার
বিশ্বকাপে কমপক্ষে সাত ম্যাচ খেলেছেন এবং ম্যাচপ্রতি গড়ে একটির বেশি গোল করেছেন এমন খেলোয়াড় আছেন মাত্র একজন-জার্ড মুলার। ১৯৭০ ও ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচে ১৪ গোল মুলারের। গত বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজের ৫ ম্যাচে ৬ গোল। রাশিয়াতে একটির বেশি ম্যাচ খেলে, ম্যাচপ্রতি এক গোল করলেই নাম লেখাবেন মুলারের পাশে।