হাঁটুর ব্যথা কমায় সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাবিব নেওয়াজ
হাঁটুর ব্যথা কমায় সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাবিব নেওয়াজ

‘ভুল’ সিদ্ধান্ত পাল্টে কাতার যাচ্ছেন নাবিব নেওয়াজ

নাবিব নেওয়াজ এখন মনে করছেন সিদ্ধান্তটা ভুলই নিয়েছিলেন। হাঁটুর চোটে পড়ে কাতার যাননি তিনি। তবে এখন সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন। আগামীকাল দোহার উদ্দেশে উড়াল দেবেন তিনি। যোগ দেবেন বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি ম্যাচ খেলতে এ মুহূর্তে কাতারে থাকা জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে।

১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ দল দোহা যাওয়ার আগের রাতে দুঃসংবাদ শোনেন স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ। নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। করানো হয়েছিল এমআরআই। সেই রিপোর্ট ভালো আসেনি। ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা নেই দেখে দলের সঙ্গে যাননি। এখন চোটের অবস্থা একটু ভালো। ঠিকমতো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেলে খেলার একটা সুযোগ আছে। কোচ জেমি ডেও তাঁকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলেছেন।

নাবিব আজ প্রথম আলোকে সে কথাই বলেছেন, ‘ফিজিও আমাকে এক সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রাম দিয়েছিলেন। তারপর শুরু হবে পুনর্বাসন। কাতারের বিপক্ষে ৪ ডিসেম্বর আমার মাঠে নামার সম্ভাবনা ছিল ৫০-৫০। যেহেতু খেলার নিশ্চয়তা ছিল না, তাই তখন আমি বাসায় চলে যাই। দলের সঙ্গে না যাওয়া ছিল আমার ভুল সিদ্ধান্ত।’

কাতারে পৌঁছে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।

কিন্তু ফিজিওর দেওয়া ওষুধ খেয়ে আমার হাঁটুর ব্যথা অনেক কমেছে বলেও জানালেন তিনি, ‘এখন ওষুধ খেয়ে অনেক ভালো বোধ করছি। ব্যথাও কমেছে। পুরো ব্যাপারটা কোচ জেমি ডেকে জানালে তিনি আমাকে কাতার যেতে বলেন। তাই আগামীকাল যাচ্ছি। হাতে আরও কয়েক দিন সময় থাকায় মনে হচ্ছে কাতারের বিপক্ষে খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে আমার।’

নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলেছেন ভালো। কিন্তু খেলার একপর্যায়ে নেপালি গোলরক্ষক তাঁর হাঁটুর ওপর পড়লে চোট পান। দলের আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে চোটটি দুঃসংবাদ হিসেবেই এসেছিল দলের জন্য। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে স্ট্রাইকারের পেছনে খেলেছিলেন নাবিব।

কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের ম্যাচে কোচের পরিকল্পনায় রয়েছেন এই স্ট্রাইকার। গতকাল করোনা পরীক্ষায়ও নেগেটিভ এসেছে তাঁর। তবে এখনো পজিটিভ কোচ জেমি ডে। তাই জেমির এখনই যাওয়া হচ্ছে না দোহায়। আগামীকাল নাবিবের সঙ্গী হয়ে দোহা যাবেন বাংলাদেশ দলের পর্যবেক্ষক ও বাফুফে সদস্য ইমতিয়াজ হামিদ।