>এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
কাতারে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব- ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে আজ ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। একটি করে গোল করেছেন সাইফুল সাঈদ ও মঈন উদ্দিন। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। এর আগে বুধবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ।
ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা অনুমেয়ই ছিল। এই তো গত মাসের ২৩ তারিখে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার কল্যাণীতে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে ভুটানের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। এক মাসের ব্যবধানে সেই একই দলের বিপক্ষে জয় পেতে কোনো কষ্টই হয়নি। টুর্নামেন্টের বয়সের ধাপ বেড়েছে। এতে বাংলাদেশের গোল দুইটি কমলেও নিজেদের পোস্ট সুরক্ষিত।
প্রথমার্ধে এক গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে ২ গোল। অথচ প্রথমার্ধের প্রথম গোলটির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের কিশোরদের খেলা দেখে মনেই হয়নি বড় ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে তারা। আক্রমণে পরিকল্পনার ছাপ ছিল না। বল উড়িয়ে ভুটানের বক্সের আশপাশে ফেলার চেষ্টাই বেশি। একটি গোলের জন্য হাপিত্যেশ করতে হচ্ছিল বাংলাদেশকে। ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে থাকলেও খোলা যাচ্ছিল না গোলমুখ। সাঈদ, মঈনরা অ্যাটাকিং থার্ডে ঢুকলেই ভুটানের আটজনের রক্ষণ দেয়াল। এর পাল্টা কৌশলে উইং দিয়ে আক্রমণে গিয়েছে বাংলাদেশ।
৩-৪-৩ ফরমেশনে বাংলাদেশের ডান প্রান্তে সাজেদ হাসান ও সুমন ছিল অপ্রতিরোধ্য। দ্রুত গতির এই দুই ফুটবলারের কাছে বারবার পরাস্ত হয়েছে ভুটানের রক্ষণভাগ। ভুটানের গোলের তালা খোলা গিয়েছে ডান প্রান্ত থেকে সুমনের এক মাপা ক্রসেই। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুমনের ক্রসে দূরের পোস্ট থেকে হেড করে বল জালে জড়িয়েছেন সাইফুল। এক গোলের পুঁজি নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে আত্মাঘাতী গোলে ২-০। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের চাপে পড়েই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে জালে জড়িয়ে দেয় ভুটান। পরের মিনিটেই মঈনের দুর্দান্ত গোলে ৩-০। একটি এরিয়াল থ্রুতে ভুটান রক্ষণভাগকে গতিতে পেছনে ফেলে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলরক্ষককে ঘোল খাইয়ে গোলটি করেছেন মঈন।
এই জয়ে গ্রুপ ‘এফ’ তে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বর বাংলাদেশ। ২২ সেপ্টেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইয়েমেন। যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েছে ১০-১ ব্যবধানে। ইয়েমেনকে হারাতে পারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগও আসতে পারে। অবশ্য রানার্সআপ হতে পারলেও ২০২০ সালে বাহরাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এএফসির বয়সভিত্তিক শীর্ষ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। তবে সে ক্ষেত্রে ইয়েমেনকে হারাতে হবেই।