>দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
দুই রাউন্ডের কঠিন বাধা পেরিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিট আদায় করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাংলাদেশ-ই একমাত্র দেশ, যারা পেয়েছে এশিয়ার সেরা আটটি দেশ নিয়ে সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্তপর্বের টিকিট। অন্যদিকে, মূল পর্বে খেলা তো দূরের কথা, বাছাইপর্বের প্রথম পর্বের বাধাই পেরোতে পারেনি ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য তিনটি দেশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।
গতকাল মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে চীনের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বের লম্বা দৌড়ে গতকাল প্রথম হারের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশ নিজেদের কাজটা করে রেখেছিল চীন ম্যাচের আগেই। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে আগেই ফিলিপাইন ও মিয়ানমারকে হারিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিট নিশ্চিত করে রেখেছিল গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। মিয়ানমার মিশনে তিন ম্যাচে ১১ গোল করার বিপরীতে হজম করেছে তিন গোল।
এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে প্রথম পর্বে বাহরাইন, লেবানন, আরব আমিরাত ও ভিয়েতনামের সঙ্গে বাছাইপর্বের ‘এফ’ গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ। যেখানে চার ম্যাচে মোট ২৭ গোল করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিকেরা। একই রাউন্ডে লাওস, হংকং, মঙ্গোলিয়া আর পাকিস্তানের সঙ্গে গ্রুপ ‘বি’তে ছিল ভারত। মঙ্গোলিয়ায় অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে চার ম্যাচে দুই জয়, এক ড্র ও এক হার নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে তারা। রানার্সআপ হলেও দ্বিতীয় পর্বে খেলার সুযোগ ছিল। ছয় গ্রুপ থেকে দুটি সেরা রানার্সআপই সেই সুযোগ পেত। কিন্তু ভারত তা হতে পারেনি। চার ম্যাচে কোনো গোল না করে ২০ গোল হজম করে গ্রুপের তলানিতে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করেছে একই গ্রুপে থাকা পাকিস্তান।
গ্রুপ ‘এ’–এর আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল চীন, জর্ডান, উজবেকিস্তান ও গুয়াম। চার ম্যাচে দুই গোল করে ৩২ গোল হজম করে গ্রুপের তলানিতে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করেছে তারা। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মতো বাছাইপর্বের আয়োজক ছিল নেপালও। গ্রুপ ‘ই’ তে তাদের সঙ্গে ছিল মিয়ানমার, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া। ঘরের মাঠে নেপালের একমাত্র অর্জন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-৪ গোলে ড্র।