>১ ডিসেম্বর নেপালে অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে নিজেদের ফেবারিট ভাবছে না বাংলাদেশ। তবে সোনা জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে-র
নেপালে অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ফুটবলে অংশ নিচ্ছে না এ অঞ্চলের ‘পাওয়ার হাউজ’ ভারত। সেরা দলের অনুপস্থিতিতে সোনার পদক জয় বাকি দলগুলোর জন্য বড় সুযোগই বটে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য। অনূর্ধ্ব- ২৩ দলের মোড়কে প্রায় জাতীয় দল নিয়েই কাঠমান্ডু যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবু নিজেদের ফেবারিট ভাবতে নারাজ বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে।
১ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া গেমসকে সামনে রেখে আগামীকাল থেকে শুরু হবে অনূর্ধ্ব- ২৩ দলের অনুশীলন। ঢাকায় পাঁচ দিনের অনুশীলন পর্ব শেষ করে ২৬ তারিখে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে জেমি ডে-র দলের। সেখানকার উচ্চতা ও ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্যই আগেভাগে যাওয়া। নামে অনূর্ধ্ব- ২৩ দল হলেও বাংলাদেশ দলটা একরকম জাতীয় দলই। সর্বশেষ ওমান সফরে জাতীয় দলের ১৬ জন খেলোয়াড়ই আছেন গেমসগামী দলে। এদের মধ্যে তিনজন সিনিয়র কোটায় মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া, ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন।
স্পষ্টত প্রায় জাতীয় দল নিয়েই কাঠমান্ডু যাচ্ছেন জেমি। একে নিজের শক্তিশালী দল, অন্যদিকে ভারতে অনুপস্থিতি। সব মিলিয়ে গেমসে নিজের দলকে ফেবারিট ভাবছেন কিনা ? প্রশ্নটা সরাসরি করা হয়েছিল জেমিকে। জেমি অন্যের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে নিজেদের রাখলেন ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে, ‘ভারতের না থাকাটা অন্য দলগুলোর জন্য বড় সুযোগ। তবে নিজেদের ফেবারিট ভাবছি না আমি। স্বাগতিক হিসেবে টুর্নামেন্টে নেপালকে ফেবারিট মনে করছি। মালদ্বীপকেও ফেবারিটের তালিকায় রাখতে হবে। ’
তবে নিজেদের ফেবারিট না ভাবলেও সোনা জয়ের লক্ষ নিয়েই কাঠমান্ডু যাচ্ছেন জেমি, ‘আমাদের লক্ষ্য সোনা জয় করা। আমাদের দলটা এখন ভালো খেলছে। এ পারফরমেন্সে ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছুই হবে।’ ১৯৮৪ সাল থেকে হয়ে আসা এস এ গেমস ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ৪ বার সোনা জিতেছে পাকিস্তান। এর পরে তিনবার করে সোনা জিতেছে ভারত ও নেপাল। বাংলাদেশ সোনা জিতেছে দুইবার (১৯৯৯ ও ২০১০।) ২০০৪ সালে থেকে অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমসের মতো অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এসএ গেমসের ফুটবল প্রতিযোগিতা।