আজ গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ
আজ গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ

ভাগ্যকে দুষলেন কোচ গোলাম রব্বানী

ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় বাংলাদেশের সইশিকারি দর্শকদের পাল্লায় পড়লেন নেপালের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার। বেশ খুশি মনেই অটোগ্রাফ দিলেন অঞ্জনা। দুর্দান্ত কিছু গোল বাঁচিয়ে পুরো ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩ পয়েন্ট পেতে দেননি এই নেপালি গোলরক্ষক। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে শুরুটা জয় দিয়ে হলো না বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী দুষলেন ভাগ্যকে।

অনেক দর্শক ছিলেন মাঠে

নেপাল গোলরক্ষকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন গোলাম রব্বানী, ‘আমি বলেছিলাম, মেয়েরা কঠোর অনুশীলন করেছে, ভালো ফুটবল খেলবে। তারা সেটাই করেছে। দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। ম্যাচজুড়ে আধিপত্য করেছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গোল পাইনি, যেটা পাওয়া উচিত ছিল। মনিকার শেষ যে শটটা যেভাবে বাঁচিয়েছে ওদের গোলরক্ষক, সেই কৃতিত্ব দিতেই হবে ওকে। আসলে শেষ পর্যন্ত খেলায় ভাগ্যেরও একটা ব্যাপার আছে। অঞ্জনা আজ অনেকগুলো নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছে।’

ম্যাচে আঁখির শট সাইড পোস্টে লেগেছে। মনিকার শট অল্পের জন্য গোল হয়নি। ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি বাংলাদেশ। তবে গোল না পেলেও মেয়েদের খেলায় সন্তুষ্ট কোচ, ‘আমাদের অনেকগুলো ভালো আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু আমরা গোল পাইনি। আজকে মেয়েরা পুরো ৯০ মিনিট একই রকম ছন্দে ফুটবল খেলেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও নেপালের ঐতিহ্য আমরা সবাই জানি। তবে আজকে আমাদের মেয়েরাও দেখিয়েছে, তারাও উন্নতি করেছে।’

দারুণ খেলেছেন গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার

প্রথম ম্যাচে ড্র করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এতেই হতাশ হচ্ছেন না কোচ। এখনো ফাইনালে চোখ রাখছেন গোলাম রব্বানী, ‘এটা লিগভিত্তিক খেলা। সবার সঙ্গে সবার খেলা হবে। নেপালও ৩ পয়েন্ট পায়নি। ওরাও আমাদের সঙ্গে আছে। এটা একটা ভালো দিক। তবে ৩ পয়েন্ট পেলেই খুশি হতাম। এখনো অবশ্যই ফাইনালে ওঠার আশা রয়েছে আমাদের।’

কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ স্টেডিয়ামে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরের ম্যাচটি খেলবে ভুটানের বিপক্ষে।