ভলিটা যদি ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসত! ম্যাচ শেষেও রাসেল মুন্সীর কণ্ঠে আফসোস। ক্রসবারে না লেগে বলটা সামান্য একটু নিচ দিয়ে গেলেও জড়িয়ে যেত জালে। আর সেটি হতো দৃষ্টিনন্দন এক গোল। তা না হলেও ফারাজ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গোল্ডকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেতে কষ্ট হয়নি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেলের। টুর্নামেন্টে তাঁর দলও হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।
রাসেল মূলত ফুলব্যাক। কিন্তু দলের প্রয়োজনে টুর্নামেন্টে খেলেছেন ফরোয়ার্ড। ফাইনালে আজ গোল না পেলেও টুর্নামেন্টে তাঁর পা থেকে গোল এসেছে তিনটি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন দুইবার। আর এতেই আজ তাঁর হাতে উঠে গিয়েছে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার গোল্ডেন বল। ম্যাচ শেষে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক খন্দকার জায়েদ আহসান।
টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাসেল, ‘অনেক বড় একটি টুর্নামেন্ট খেললাম। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমিও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছি। সবকিছু মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে। প্রতি বছরই যেন টুর্নামেন্টটা হয়, এটাই আমাদের আশা।’
এমন টুর্নামেন্টের আয়োজনের অংশীদার হতে পেরে খুশি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক খন্দকার জায়েদ আহসান। তাঁর কণ্ঠে ভবিষ্যতে আরও জমজমাট টুর্নামেন্টের আশাবাদ, ‘নতুন প্রজন্মকে এক করতে এটা একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। খেলতে খেলতেই এখানে বন্ধুত্ব হচ্ছে। ফারাজ বন্ধুদের জন্য আত্মত্যাগ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এখানে খেলার সুবাদে যেন সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে আর না ঢোকে সেটাই আমাদের চাওয়া। এমন টুর্নামেন্টের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা খুশি। ভবিষ্যতে টুর্নামেন্টটা আশা করি আরও জমজমাট হবে।’ সোনালী অতীত ক্লাবের আয়োজনে এই টুর্নামেন্টের সহযোগী পৃষ্ঠপোষক ছিল শাহজালাল ব্যাংক ও হা-মীম গ্রুপ।
টুর্নামেন্ট শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ৩ লাখ টাকার প্রাইজমানি ও ট্রফি তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শামীম হাসান, সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন ফার ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উসাই মারমা। উপস্থিত ছিলেন ফারাজ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বিনয় দাস, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, টুর্নামেন্টের সদস্যসচিব ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম, হাসানুজ্জামান বাবলু, সত্যজিৎ দাস রুপু, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখরসহ অনেকে।