নেইমার-জেসুস মিলে ২০১৬ সালে ব্রাজিলের অলিম্পিক সোনার আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছিলেন।
নেইমার-জেসুস মিলে ২০১৬ সালে ব্রাজিলের অলিম্পিক সোনার আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছিলেন।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দলে চেনা মুখ কে কে আছেন?

ইউরো আর কোপা আমেরিকা একসঙ্গেই শেষ হয়ে গেল! ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের মৌসুমের ব্যস্ততা শুরু হতে এখনো মাসখানেক বাকি। এর মধ্যে ফুটবলপ্রেমীদের যদি বিষণ্নতা পেয়ে বসার শঙ্কা থেকে থাকে, তাঁদের জন্য কিছুটা স্বস্তি হয়ে আসতে পারে টোকিও অলিম্পিকের ফুটবল। সিনিয়রদের ফুটবলের আমেজ হয়তো থাকবে না, কিন্তু প্রশ্ন যখন অলিম্পিকের মতো বিশ্ব আসরের সোনা জয়ের, এই টুর্নামেন্টের আকর্ষণই-বা কম কী!

অলিম্পিকের মূল আসর শুরু হবে ২৩ জুলাই। তবে অলিম্পিকের মেয়েদের ফুটবল শুরু হবে ২১ জুলাই, ছেলেদের ফুটবল তার একদিন পর। ছেলেদের ফুটবলে দল থাকছে ১৬টি। সেখানে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলে শক্তিশালী দলগুলোর বেশ কয়েকটি থাকছে। কিন্তু অলিম্পিকের দল মানে তো এখানে যুবদলের খেলোয়াড়েরাই থাকছেন, বেশিরভাগই এই টুর্নামেন্ট দিয়ে নিজেদের চেনানোর চেষ্টা করবেন। এর বাইরে চেনা মুখ কারা থাকছেন?

সাধারণত অলিম্পিকের ফুটবল দলগুলো হয় অনূর্ধ্ব-২৩ খেলোয়াড়দের নিয়ে, একটা দলে সর্বোচ্চ তিনজন খেলোয়াড় থাকতে পারেন এর চেয়ে বেশি বয়সী। যদিও এবার ছেলেদের টুর্নামেন্টে সেখানে একটু বদল আসছে (মেয়েদের টুর্নামেন্টে বয়সের সীমা নেই)। অলিম্পিক গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে গেছে, সে কারণে বয়সের সীমা এবার ২৩ থেকে ২৪ করে দিয়েছে ফিফা। অর্থাৎ, ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি বা এর পরে জন্ম নেওয়া ফুটবলাররা সুযোগ পাচ্ছেন এবার অলিম্পিকে। বেশি বয়সীর কোটা তিনজনেই থাকছে!

কোন গ্রুপে কে?

করোনার কারণে দলে খেলোয়াড়ের সংখ্যাও বাড়ছে। আগে অলিম্পিকের দলে সর্বোচ্চ ১৮ জন খেলোয়াড় নেওয়া যেত, এবার করোনার কারণে একটা দল ২২ জন খেলোয়াড় নিয়ে যেতে পারবে টুর্নামেন্টে।

এই সব নিয়ম মাথায় রেখেই এরই মধ্যে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া ১৬টি দেশ তাদের দল ঘোষণা করে দিয়েছে। তা কে কে থাকছেন দলগুলোতে? বাংলাদেশের মানুষ যে দুই দলকে সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করেন, সেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দলে চেনা মুখ কারা আছেন? স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স দলেই বা কারা আছেন?

ব্রাজিল

অলিম্পিকের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ১৭ জুনই তাদের মূল স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি ক্লাব খেলোয়াড় ছাড়তে রাজি না হওয়ায় (অলিম্পিক ফিফার টুর্নামেন্ট নয় বলে এই টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে ক্লাবগুলো বাধ্য নয়) দলে বদল এনে আবার ২ জুলাই চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে ব্রাজিল। এর মধ্যে বার্সেলোনার সাবেক ও বর্তমানে রাশিয়ার ক্লাব জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গের ফরোয়ার্ড ম্যালকমকে নিয়ে তো নাটক হলো!

মার্শেইয়ের গেরসন, জেনিতের ম্যালকম, ফ্লামেঙ্গোর পেদ্রো...এঁদের প্রথমে চূড়ান্ত দলে রাখলেও ক্লাবের আপত্তির কারণে ২ জুলাই ঘোষিত দলে রাখেনি ব্রাজিল। কিন্তু দগলাস অগুস্তো চোটে পড়ায় আবার ম্যালকমকে দলে ডাকা হয়েছে।

ম্যালকমকে ইউরোপের ফুটবল অনুসারী অনেকেই চেনেন, তবে এর চেয়েও পরিচিত একটি নাম ব্রাজিল দলে আছে। দানি আলভেজ! বার্সেলোনায় কিংবদন্তিতুল্য সাফল্য পাওয়া রাইটব্যাক জুভেন্টাস-পিএসজি ঘুরে ঘরে ফিরেছেন আরও বছর দুয়েক আগে, এই ৩৮ বছর বয়সেও সাও পাওলোর হয়ে দারুণ খেলছেন।

দলে ইউরোপে খেলা ফুটবলার আছেন ১১ জন। এর মধ্যে ম্যালকমের বাইরে ব্রাজিলের অলিম্পিক দলের কোচ আন্দ্রে জারদিন দলে ডেকেছেন কদিন আগে কোপা আমেরিকায় খেলা এভারটনের রিচার্লিসন। আছেন বায়ার লেভারকুসেনের পাউলিনিও, আর্সেনালের ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, লিওঁর মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেস, রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এই মুহূর্তে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে ধারে খেলা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রেইনিয়ের, হার্থা বার্লিনের মাতেউস কুনিয়া, সেভিয়ার ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোস, অ্যাস্টন ভিলার মিডফিল্ডার দগলাস লুইজ, সিএসকেএ মস্কোর ব্রুনো ফুখস ও আয়াক্সের আন্তোনি।

ব্রাজিলের সিনিয়র দলে এরই মধ্যে একবার ডাক পাওয়া রাইটব্যাক গাব্রিয়েল মেনিনোও আছেন, যদিও এখনো জাতীয় দলে খেলা হয়নি তাঁর। আর্সেনালের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েলেরও থাকার কথা ছিল, কিন্তু চোটে পড়ায় তাঁর বদলে নেওয়া হয়েছে ভাস্কো দা গামার রিকার্দো গ্রাকাকে।

অলিম্পিকের ব্রাজিল দল।

ব্রাজিলের অলিম্পিক দল

গোলকিপার: ব্রেন্নো (গ্রেমিও), লুসাও (ভাস্কো দা গামা), সান্তোস* (আথলেতিকো পারানেন্সে)

ডিফেন্ডার: নিনো (ফ্লুমিনেন্স), রিকার্দো গ্রাকা (ভাস্কো দা গামা), গিলের্মে আরানা (আতলেতিকো মিনেইরো), গাব্রিয়েল মেনিনো (পালমেইরাস), দানি আলভেজ* (সাও পাওলো), দিয়েগো কার্লোস* (সেভিয়া), আবনের ভিনিসিয়ুস (আথলেতিকো পারানেন্সে), ব্রুনো ফুখস (সিএসকেএ মস্কো)।

মিডফিল্ডার: মাতেউস এনরিকে (গ্রেমিও), ব্রুনো গিমারেস (লিওঁ), দগলাস লুইজ (অ্যাস্টন ভিলা), ক্লদিনিও (রেড বুল ব্রাগান্তিনো), রেইনিয়ের (ডর্টমুন্ড)।

ফরোয়ার্ড: গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি (আর্সেনাল), পাওলিনিও (লেভারকুসেন), রিচার্লিসন (এভারটন), মাতেউস কুনিয়া (হার্থা বার্লিন), আন্তোনি (আয়াক্স), ম্যালকম (জেনিত)।

*বেশি বয়সী খেলোয়াড়

আর্জেন্টিনা

তিনজন নেওয়ার সুযোগ থাকলেও আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলের কোচ ফার্নান্দো বাতিস্তা ২৪-এর বেশি বয়সী খেলোয়াড় নিয়েছেন শুধু একজন। চোটের কারণে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকার দলে সুযোগ না পাওয়া স্ট্রাইকার লুকাস আলারিওকে অলিম্পিকের দলেও রাখেননি বাতিস্তা। সে কারণে দলে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হয়ে থাকলেন শুধু আর্জেন্টিনার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল থেকে গত মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাব কাদিজে ধারে খেলা গোলকিপার জেরেমাই লেদেসমা।

ব্রাজিলের মতো পরিচিত মুখ আর্জেন্টিনা দলে তেমন নেই। প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে যাঁদের কিছু নামডাক শোনা গেছে তাঁদের মধ্যে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে গ্রানাদায় ধারে খেলা ডিফেন্ডার নেহুয়েন পেরেস, ইংলিশ ক্লাব ব্রাইটনের মিডফিল্ডার আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, ফ্রান্সের ক্লাব লাঁসের ডিফেন্ডার ফাকুন্দো মেদিনা, ভেলেজ সার্জফিল্ডের মিডফিল্ডার থিয়াগো আলমাদা, যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব আটলান্টা ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার এজেকিয়েল বার্কো, রাশিয়ার ক্লাব সিএসকেএ মস্কোর স্ট্রাইকার আদোলফো গাইসের ওপরই বেশি ভরসা করবে আর্জেন্টিনা।

এঁদের মধ্যে ম্যাক অ্যালিস্টার, মেদিনা, গাইস এরই মধ্যে আর্জেন্টিনার সিনিয়র দলের হয়েও এক-দুটি করে ম্যাচ খেলেছেন।

অলিম্পিকের আর্জেন্টিনা দল

আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দল

গোলকিপার: হোয়াকিন ব্লাসকেস (তাল্লেরেস), লওতারো মোরালেস (লানুস), জেরেমাই লেদেসমা* (রোজারিও সেন্ট্রাল)।

ডিফেন্ডার: এর্নার দে লা ফুয়েন্তে (ভেলেজ সার্জফিল্ড), মার্সেলো এরেরা (সান লরেঞ্জো), নেহুয়েন পেরেস (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লিওনেল মোসেভিচ (আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স), ফাকুন্দো মেদিনা (লাঁস), ফ্রান্সিসকো ওর্তেগা (ভেলেজ), ক্লদিও ব্রাভো (পোর্টল্যান্ড টিম্বার্স)

মিডফিল্ডার: ফস্তো ভেরা (আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স), সান্তিয়াগো কলম্বাত্তো (লেওন), টমাস বেলমন্তে (লিডস ইউনাইটেড), মার্টিন পায়েরো (ব্যানফিল্ড), থিয়াগো আলমাদা (ভেলেজ সার্জফিল্ড), এজেকিয়েল বার্কো (আটালান্টা ইউনাইটেড),

ফরোয়ার্ড: কার্লোস ভালেনসুয়েলা (বারাকাস সেন্ট্রাল), পেদ্রো দে লা ভেগা (লানুস), আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (ব্রাইটন), এগুস্তিন উরজি (ব্যানফিল্ড), আদোলফো গাইস (সিএসকেএ মস্কো), এজেকিয়েল পন্স (স্পার্তাক মস্কো)।

স্পেন

স্প্যানিশ লা লিগার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বলে এমনিতেই স্পেন দলের অনেক খেলোয়াড়কে পরিচিত মনে হতো। তার মধ্যে স্পেনের অলিম্পিক দলের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে চূড়ান্ত দলে রেখেছেন কদিন আগে ইউরোতে খেলে আসা স্পেন দলের ছয় তরুণ পেদ্রি, এরিক গার্সিয়া, দানি অলমো, উনাই সিমন, মিকেল ওইয়ারসাবাল ও পাও তোরেসকে।

এঁদের বাইরে বেশি বয়সী তিন খেলোয়াড় হিসেবে রেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদের মার্কো আসেনসিও, রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আর্সেনালে গত মৌসুমে ধারে খেলা প্লেমেকার দানি সেবায়োস ও রিয়াল সোসিয়েদাদের মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোকে। আছেন বার্সেলোনার হুয়ান মিরান্দা, অস্কার মিঙ্গেসা, রিয়াল মাদ্রিদের হেসুস ভায়েহো, সেভিয়ার ব্রায়ান হিল, বার্সেলোনা থেকে হেতাফেতে যাওয়া মার্ক কুকুরেয়া, ভ্যালেন্সিয়ার মাঝমাঠে আলো ছড়ানো কার্লোস সোলের ও ইংল্যান্ডের ক্লাব উলভারহ্যাম্পটনে যোগ দেওয়া স্ট্রাইকার রাফা মিরকেও।

অলিম্পিকের স্পেন দল

জার্মানি

জার্মান দলে বেশি বয়সী তিন খেলোয়াড় হিসেবে আছেন লেভারকুসেনের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নাদিম আমিরি, ভলফসবুর্গের মিডফিল্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান আরনল্ড ও ইউনিয়ন বার্লিনের স্ট্রাইকার ম্যাক্স ক্রুজকে।

এর বাইরে তরুণ প্রতিভাবান হিসেবে বেশ নাম কুড়ানো রাইটব্যাক বেঞ্জামিন হেনরিকস (আর বি লাইপজিগ), স্টুটগার্টের গোলকিপার ফ্লোরিয়ান মুলার, অগসবুর্গের ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার ডিফেন্ডার ফেলিক্স উডুওখাই, কদিন আগে মোনাকোতে যোগ দেওয়া লেফট উইঙ্গার (লেফটব্যাক হিসেবেও খেলতে পারেন) ইসমাইল জ্যাকবস, অগসবুর্গের স্ট্রাইকার মার্কো রিখটার, হার্থা বার্লিনের মিডফিল্ডার আর্ন মায়ার, ইউনিয়ন বার্লিনের ফরোয়ার্ড সেডরিক টসের্টও আছেন।

ফ্রান্স

কোনো টুর্নামেন্টে ফ্রান্সের কোনো দল মানেই এখন প্রতিভার ছড়াছড়ি। ফ্রান্সের অলিম্পিক দলের কোচ সিলভাইন রিপোলের হাতেও প্রতিভার কমতি নেই। শুধু ক্লাবগুলো বাগড়া না দিলে এই দলে যুক্ত হতে পারতেন রেনের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, আর্সেনালের ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবা, চেলসি থেকে ধারে পোর্তোতে খেলা ডিফেন্ডার মালাং সার, নিসের আমিনে গুইরি, লিওঁর মাক্সনস কাকেরের মতো প্রতিভাবান ফুটবলাররাও। এঁদের মধ্যে কামাভিঙ্গাকে চায় রিয়াল-বার্সার মতো ক্লাব, সারকে পেতে চেলসিকে লড়তে হয়েছে লিভারপুলের সঙ্গে, গুইরি এই বয়সেই নিসের ভরসা, কাকেরে তো দুই মৌসুমের আগের চ্যাম্পিয়নস লিগে আলো ছড়ানোর পর থেকেই তারকা!

দানি আলভেজ আছেন ব্রাজিলের অলিম্পিক দলে

যাঁরা নেই, তাঁদের থেকে চোখ ফিরিয়ে যাঁরা আছেন সেদিকে দেখা যাক। বেশি বয়সী তিনজন হিসেবে আছেন কদিন আগে মার্শেই থেকে অবিশ্বাস্য দলবদলে মেক্সিকোর ক্লাব তিগ্রেতে যাওয়া ফ্লোরিয়া থভাঁ, ছয় বছর আগে একই রাস্তা ধরে দলবদল করা এক সময়ের তারকা স্ট্রাইকার আন্দ্রে পিয়ের জিনিয়াক।

তরুণ প্রতিভাদের মধ্যে নজর থাকবে লিওঁতে আলো ছড়িয়ে মৌসুম দুয়েক আগে হার্থা বার্লিনে যাওয়া লুকা তুসারের দিকে। আছেন এসি মিলানের ডিফেন্ডার পিয়ের কালুলু, লাঁসের ডিফেন্ডার ক্লেম মিশেলাঁ, পিএসজির ডিফেন্ডার টিমোথি পেম্বেলেও।

এর বাইরে তরুণ প্রতিভাবান হিসেবে নাম কুড়ানো খেলোয়াড় কিংবা তারকার খোঁজ মিলবে আরও কয়েকটি দলেও। জাপানের দলে যেমন আছেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ‘জাপানি মেসি’ তাকেফুসা কুবো। সাম্পদোরিয়ার ডিফেন্ডার মায়া ইয়োশিদা, মার্শেই থেকে এবারই জাপানের ক্লাব উরাওয়াতে যাওয়া রাইটব্যাক হিরোকি সাকাই আছেন।

মিশরের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ অলিম্পিকের জন্য ছাড়েনি তাঁর ক্লাব লিভারপুল

মেক্সিকো দলে আছেন রিয়াল বেতিসের দিয়েগো লাইনেস, ২০১৪ বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো গোলকিপার গিয়ের্মো ওচোয়া। নিউজিল্যান্ড দলে বেশি বয়সী তিন খেলোয়াড়ের দুজন হিসেবে থাকছেন ওয়েস্ট হামের ডিফেন্ডার উইনস্টন রিড ও বার্নলির স্ট্রাইকার ক্রিস উড। দক্ষিণ কোরিয়া দলে থাকছেন ভ্যালেন্সিয়ার লি ক্যাং-ইন—২০ বছর বয়সী এই সেনসেশনকে স্পেনের দাভিদ সিলভার সঙ্গে তুলনা করা হয়। অস্ট্রেলিয়া দলে থাকছেন ২০১৮ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়া ড্যানিয়েল আরজানি, যিনি পরে যোগ দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে।

মিসরের দলের জন্য মোহামেদ সালাহকে ছাড়েনি তাঁর ক্লাব লিভারপুল, তবে স্টোক সিটির সাবেক উইঙ্গার রামাদান সোভি ও ওয়েস্ট ব্রমের সাবেক ডিফেন্ডার আহমেদ হেগাজি আছেন দলে। আইভরি কোস্টের দলে থাকছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ প্রতিভাবান উইঙ্গার আমাদ দিয়াল্লো। ইউনাইটেডেরই ডিফেন্ডার এরিক বাইয়ি, মিলানের মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি তো আছেনই তারকা হয়ে!