ব্রাজিলের কীর্তি ছুঁয়েছে স্পেন।
ব্রাজিলের কীর্তি ছুঁয়েছে স্পেন।

ব্রাজিলের পাশে স্পেন, পেদ্রির অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড ও সুইসদের অপেক্ষার অবসান

দুই ম্যাচ, ১৪ গোল। ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২ গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন ইউরো ইতিহাস, সেটিও দেখল পরপর দুই ম্যাচে। ২৮ জুনের রাতটার আগে পাগুলে বিশেষণ বসানো ছাড়া আর উপায় কী! সেই রাতেই ব্রাজিলের রেকর্ড ছুঁয়েছে স্পেন। স্পেন–ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স–সুইজারল্যান্ড ম্যাচ আরও কত রেকর্ডই না উপহার দিয়ে গেল।

স্পেন–ক্রোয়েশিয়া

ইউরোতে স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন আলভারো মোরাতা।

·       ইউরো ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা দুই ম্যাচে কমপক্ষে ৫ গোল করল স্পেন।
·       বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে এক টুর্নামেন্টে দুবার  ৫ গোল করল স্পেন। প্রথম দলটি ব্রাজিল, ১৯৫৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডকে একই ব্যবধানে ৫–২ গোলে হারিয়েছিল পেলের ব্রাজিল।
·       ইউরোতে আলভারো মোরাতার গোল এখন ৫টি। ফার্নান্দো তোরেসের সঙ্গে ইউরোতে স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড ভাগাভাগি করছেন মোরাতা।

আত্মঘাতী গোলের রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন পেদ্রি।

৪৯

স্পেনের পেদ্রি ৪৯ গজ দূর থেকে আত্মঘাতী গোল করেছেন । ইউরো ইতিহাসে সবচেয়ে দূর থেকে আত্মঘাতী গোল করার রেকর্ড এটি। এর আগে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকেই কোনো আত্মঘাতী গোল হয়নি ইউরোতে।

এবার ৯টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে। ইউরোর আগের সব আসর মিলিয়েই আত্মঘাতী গোল দেখেছিল মোটে ৯টি।

দুই দল মিলে করা গোল। ইউরোর ইতিহাসে যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ। ১৯৬০ সালে সেমিফাইনাল দেখেছিল ৯ গোল। ফ্রান্সকে ৫–৪ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে যুগোস্লাভিয়া।

১৮ বছর ২১৫ দিন

পেদ্রির বয়স। সবচেয়ে কমবয়সে প্রথম একাদশে থেকে ইউরোর নকআউট পর্ব খেলার রেকর্ড এটি। পেদ্রি ভেঙেছেন ইংল্যান্ডের ওয়েইন রুনির রেকর্ড (২০০৪ সালে ১৮ বছর ২৪৪ দিন)।

ফ্রান্স–সুইজারল্যান্ড

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইজারল্যান্ড।

৬৭

বিশ্বকাপ ও ইউরোর মতো বড় টুর্নামেন্টে ৬৭ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সুইজারল্যান্ড। সুইসরা ১৯৫৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রিয়ার কাছে ৭–৫ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল।

২০১০

২০১০ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম ইউরো কিংবা বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো ফ্রান্স।

১৯৯২

এবারের আগে ১৯৯২ সালে সর্বশেষ ফ্রান্সকে হারিয়েছিল সুইসরা। এরপর খেলা সাত ম্যাচের তিনটিতে জিতেছিল ফ্রান্স।

· ১৯৬০ সালের পর এবারই প্রথম ফ্রান্সের বিপক্ষে এক ম্যাচে তিন গোল করল সুইজারল্যান্ড। ১৯৬০ সালের সেই প্রীতি ম্যাচে ৬–২ গোলে জিতেছিল সুইসরা।
· বড় টুর্নামেন্টে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো সর্বশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছে ফ্রান্স।

১৯৫৪

তুরস্ককে ৩–১ গোলে হারানোর পর ফ্রান্সের জালে ৩ গোল—সুইসরা ১৯৫৪ বিশ্বকাপের পর প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টে টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল পেল।

হেডে ২ গোল করেছেন সুইজারল্যান্ডের হারিস সেফেরোভিচ।

১৯৭৬ ইউরোর পর মাত্র চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে ইউরোর এক ম্যাচে হেডে ২ গোল করেছেন সুইজারল্যান্ডের হারিস সেফেরোভিচ। প্রথম তিনজন ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচ, ইউক্রেনের আন্দ্রিই শেভচেঙ্কো ও ডেনমার্কের নিকলাস বেন্টনার। তিনজনই ২০১২ সালে গড়েন এই কীর্তি।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে পাওয়া সর্বশেষ চারটি পেনাল্টি থেকেই গোল করতে ব্যর্থ সুইজারল্যান্ড।

১৯৮৪ ইউরোর মিশেল প্লাতিনির পর ফ্রান্সের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোতে টানা দুই ম্যাচে অন্তত ২ গোল পেলেন করিম বেনজেমা।

এবারের ইউরোতে সুইজারল্যান্ডের স্টিভেন জুবেরের অ্যাসিস্ট। ১৯৮০ সালে অ্যাসিস্টের তথ্য রাখা শুরু করার পর এক ইউরোতে অ্যাসিস্টের রেকর্ড এটি।

গোল করানোর নতুন ইউরো রেকর্ড গড়েছেন স্টিভেন জুবের (ডানে)।