গোল করার পর কাভানির উদ্‌যাপন।
গোল করার পর কাভানির উদ্‌যাপন।

ব্রাজিলকে এড়াল উরুগুয়ে

কোপার 'এ' গ্রুপ থেকে বলিভিয়া আগেই ছিটকে পড়েছে। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার জন্য আজকের ম্যাচগুলোর কোনো গুরুত্ব ছিল না। তবু প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আজ কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা নিয়ে নেমেছিল উরুগুয়ে, হারলেই যে বিপদ।
 
আজ হারলেই 'এ' গ্রুপে চতুর্থ হতো উরুগুয়ে। আর তাহলেই কোয়ার্টার ফাইনালে 'বি' গ্রুপের শীর্ষ দল ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে হতো তাদের। গ্রুপে এই ম্যাচের আগে দুইয়ে থাকা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তাই কঠিন পরীক্ষা দিতেই নেমেছিল উরুগুয়ে। অস্কার তাবারেজের দল সে পরীক্ষায় পাশ করে ফিরেছে। প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় হয়েই যাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে দলটি।

দারুণ খেলেছেন কাভানি।

এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও লুইস সুয়ারেজকে ছাড়া নেমেছিল উরুগুয়ে। দলের সেরা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে যাঁর দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল, তিনি এডিনসন কাভানি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার সে দায়িত্ব প্রথমার্ধেই পালন করেছেন। শুরু থেকেই গোলের জন্য চেষ্টা করে যাওয়া উরুগুয়ে ১৯ মিনিটেই ভাগ্যকে পাশে পেয়েছে।

নাহিতান নান্দেজকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন প্যারাগুয়ের আনহেল রোমেরো। পেনাল্টি নেওয়ার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন কাভানি। কোনো ভুল করেননি গোল করতে। প্রথমার্ধের বাকি সময়টাতেও গোল করার আগ্রহ উরুগুয়েরই বেশি ছিল। প্যারাগুয়ের আক্রমণগুলো সব ডি-বক্সের আশেপাশেই ঘুরপাক খেয়েছে।

নিজের পরিকল্পনা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন তাবারেজ।

এই ম্যাচ থেকে প্যারাগুয়ের কিছুটা প্রাপ্তি থাকত যদি নিজেদের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আর্জেন্টিনা পয়েন্ট খোয়াত। সে ক্ষেত্রে শীর্ষে চলে যেত প্যারাগুয়ে, পেত ইকুয়েডরকে। আর ড্র করলে দ্বিতীয় হয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হতো। কিন্তু দলটি শুরু থেকেই যেভাবে খেলেছে তাতে মনে হচ্ছিল কলম্বিয়ার চেয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে অন্য গ্রুপের দ্বিতীয় দল পেরুকেই তাদের বেশি পছন্দ! ম্যাচের প্রথম ৬০ মিনিট পর্যন্ত দলটি কোনো শট নেয়নি। অথচ উরুগুয়ের গোলেই শট ছিল চারটি।

সুয়ারেজ শুরুতে মাঠে নামেননি।

ম্যাচের ৬৭ মিনিটে কাভানির বদলে মাঠে নামেন সুয়ারেজ। নেমেই গোলের দেখা পেতে পারতেন, যদি তাঁর সতীর্থ সঠিক জায়গায় পাস দিতে পারতেন। গোটা দুই ফ্রি-কিক থেকে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু গোল পাননি সুয়ারেজ।