আজ ছুটির দিন হলেও দেশের ফুটবলে সর্বত্র আলোচনায় অনলাইন বেটিং। এর সঙ্গে ঢাকার ক্লাব আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে ক্লাবের ভেতর থেকেই। অভিযোগ আছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও। ম্যাচ পাতানো, স্পট ফিক্সিং ও অনলাইন বেটিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগের জবাব চেয়ে এ দুটি ক্লাবকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফের ভাষ্যমতে, এখন পর্যন্ত আরামবাগকে তিনটি ও ব্রাদার্সকে দুটি চিঠি দিয়েছে তারা।
আরামবাগের দাবি, তারা দুটি চিঠি পেয়েছে। আজ সর্বশেষ চিঠিটির আগে শুধু ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি পেয়েছে বলে জানান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী। এর মধ্যে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আগে মৌখিকভাবে প্রথম চিঠির জবাব দিলেও আজ লিখিত জবাব দিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘চিঠিতে আমরা বলেছি, আমি বা আমার ক্লাব কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়। আপনারা যদি কোনো তথ্য-প্রমাণ পেয়ে থাকেন, আমাদের জানান। আমরা এর ব্যবস্থা নেব। এর সঙ্গে ক্লাবের কোনো কর্মকর্তা বা খেলোয়াড় জড়িত থাকলে খুঁজে বের করতে হবে। এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমরাও।’
আজ ই-মেইলে ২০ তারিখে ইস্যু করা বাফুফের দ্বিতীয় চিঠি পেয়েছে ব্রাদার্স। প্রথম চিঠির জবাবে পাতানো ম্যাচের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানতে চেয়েছিল গোপীবাগের ক্লাবটি। আজ ই-মেইলে পাওয়া চিঠিতে দুটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খান। আগামীকাল এই চিঠির জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি আমাদের জন্য নতুন। আমাদের একটা ধারণা হয়েছে কীভাবে বেটিং হয়েছে বা হয়ে থাকে।আবু নাইম, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক
অনলাইন বেটিং বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য নতুন। ফলে এ বিষয়ে এএফসির সঙ্গে আলোচনা করে এগোতে চায় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জন্য নতুন। আমাদের একটা ধারণা হয়েছে কীভাবে বেটিং হয়েছে বা হয়ে থাকে। ক্লাবগুলোর কাছে থেকে পাওয়া ব্যাখ্যাগুলোও তাদের সময়মতো জানাতে হবে। এএফসির সঙ্গে সমন্বয় করে এগোব আমরা। এরপরে একটা সময় তো আমরা পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির কাছে দেব।’ বাফুফে বিষয়টি এএফসির মাধ্যমেই জেনেছে বলে জানান তিনি।
আরামবাগের যে তিনটি ম্যাচের ব্যাপারে বাফুফে অভিযোগ পেয়েছে, সেগুলো ছিল মোহামেডান, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও আবাহনীর বিপক্ষে। ব্রাদার্সের সন্দেহজনক ম্যাচ দুটি আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে।