>বিশ্বকাপ প্রাক্–বাছাইয়ে প্রতিপক্ষ লাওসকে এগিয়ে রাখছে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে
বিশ্বকাপ প্রাক্-বাছাইপর্বে লাওসের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-লাওস ম্যাচের পরিসংখ্যান জানা থাকলে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখার কথা। হয়তো রাখবেনও। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে প্রতিপক্ষ লাওসকেই জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখছেন। অবশ্য কে না জানে, মাঠে নামার আগে প্রায় সব পেশাদার কোচই এগিয়ে রাখেন প্রতিপক্ষকে!
প্রতিপক্ষ হিসেবে লাওস বাংলাদেশের কাছে যথেষ্ট পরিচিত। গত বছরের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে এই লাওসকেই সিলেটে ১-০ গোলে হারিয়েছিল জেমি ডের দল। এর আগে অ্যান্ড্রু ওর্ডের আমলে গত বছর মার্চে ভিয়েনতিয়েনে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ২-০ গোল পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে এক ড্রয়ের বিপরীতে এক জয়। সাম্প্রতিক সময়ের এমন পারফরম্যান্সের পরও লাওসকেই জয়ের সম্ভাবনায় ৬০ শতাংশ এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ কোচ। ইংল্যান্ড থেকে প্রথম আলোকে বাংলাদেশ কোচ জানিয়েছেন তাঁর হিসাব, ‘লাওস আমাদের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। জয়ের ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে তারা। যদি জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনার কথা বলি। জয়ের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ এগিয়ে আছে লাওস। বাকি ৪০ শতাংশ আমাদের।’
তবে জেমির কথা শুনে বাংলাদেশ সমর্থকদের হতাশার কিছু নেই। আশার রাস্তাও দেখিয়েছেন কোচ। প্রাক্-বাছাই পাড়ি দেওয়ার জন্য ফুটবলের সেই চিরাচরিত কথাটাই তুলে ধরেছেন ডে, ‘ওদের সঙ্গে খেলার সুবাদে শক্তি ও দুর্বলতা জানা আছে। তেমনি ওরাও জানে আমাদের শক্তি ও দুর্বলতা। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা শক্তিশালী। তবে আমাদের খেলোয়াড়েরা প্রস্তুত আছে। খেলোয়াড়েরা যদি দুই ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারে, পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব।’ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রাক্-বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১১ জুন। প্রথম ম্যাচটি জামাল ভূঁইয়াদের খেলতে হবে প্রতিপক্ষের মাঠে।
এই বাধা টপকাতে পারলে আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। সঙ্গে থাকা যাবে কাতার বিশ্বকাপ খেলার নামকাওয়াস্তে দৌড়েও। কিন্তু ব্যর্থ হলে দিতে হতে পারে চরম মূল্য। ছিটকে যেতে হবে আগামী চার বছরের আন্তর্জাতিক ফুটবলের মূল স্রোত থেকে। কারণ, বাদ পড়াদের জন্য এখনো পরবর্তী চার বছরের কোনো সূচি ঘোষণা করেনি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। যদিও গতবার বাদ পড়ে যাওয়া দলগুলো নিয়ে এএফসি সলিডারিটি কাপের আয়োজন করেছিল এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ এ সংস্থা।
প্রাক্-বাছাইয়ে বাংলাদেশ দল নিয়ে আশা করাই যায়। ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব গ্রহণের পর জেমির অধীনে ভালো খেলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের গেরো না খুলতে পারার হতাশা এক পাশে রাখলে তরুণ এই কোচের অধীনে বেশ ভালোই খেলছে বাংলাদেশ। ৩৯ বছর বয়সী ইংলিশ এই কোচের অধীনে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়ার মানসিকতায়। খেলোয়াড়দের চাঙা রাখতে জুড়ি নেই সাবেক আর্সেনাল মিডফিল্ডারের। তাঁর অধীনে ৮ ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল ৪ জয়ের বিপরীতে ৪ ম্যাচ হেরেছে।