>করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার এজেকিয়েল গ্যারায়। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিলেন তিনি
এজেকিয়েল গ্যারায়ের কথা মনে পড়ে?
২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সেই দুর্দান্ত রক্ষণভাগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন এই গ্যারায়। আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পেছনে মেসি-মাচেরানো-রোমেরোর পাশাপাশি তাঁর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই গ্যারায় আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। আক্রান্ত হয়েই নাম লিখিয়েছেন একটা অপ্রত্যাশিত ‘রেকর্ডে’—স্পেনে শীর্ষ পর্যায়ে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে গ্যারায়ই প্রথম, যার মধ্যে সংক্রমিত হলো করোনাভাইরাস।
স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণভাগের অন্যতম অংশ এই গ্যারায়। স্বাভাবিকভাবেই, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে গ্যারায়কে। ভ্যালেন্সিয়াও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী এজেকিয়েল গ্যারায়সহ ক্লাবটির মোট পাঁচ ফুটবলার ও স্টাফের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। দলটির ফরাসি ডিফেন্ডার এলিয়াকুইম মাঙ্গালা ও স্প্যানিশ লেফটব্যাক হোসে লুইস গায়াও রয়েছেন এদের মধ্যে। তবে আক্রান্ত খেলোয়াড় ও স্টাফদের সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে ক্লাবটি। তারা নিজ নিজ বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টিন’-এ অবস্থান করছেন এবং অন্যদের কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করে রেখেছেন।
নিজের শরীরে এই মরণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টা গ্যারায় নিজেও জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। তিনি লিখেছেন, ‘২০২০ সালের শুরুটা খুব বাজেভাবে হলো। আমার মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। তবে এখন আমি খুব ভালো আছি। আমাকে অবশ্যই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং আলাদা থাকতে হবে।’
এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার পর ক্লাবটির সব অনুশীলন বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় সব খেলোয়াড়কে। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার লা লিগার ম্যাচ পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।