>তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নতুন করে ঢেলে সাজানোর একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। আর তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টিনার ‘ফুটবল দার্শনিক’ হিসেবে পরিচিত লুইস মেনোত্তিকে।
কোথায় হারাল সেই আর্জেন্টিনা? প্রশ্নটা অনেক আগেই উঠে গিয়েছে বিশ্ব ফুটবলে। ১৯৯৩ কোপা আমেরিকার পরে আর কোনো বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতা হয়নি আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ জিতেছে শেষ ১৯৮৬ সালে। গত বছর রাশিয়া বিশ্বকাপে তো দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায়। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আসলেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। এ অবস্থায় একেবারে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নতুন করে ঢেলে সাজানোর একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। আর তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টিনার ‘ফুটবল দার্শনিক’ হিসেবে পরিচিত লুইস মেনোত্তিকে।
মোনেত্তির অধীনেই ১৯৭৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। চার বছর পর স্পেন বিশ্বকাপেও দলটির কোচ ছিলেন তিনি। আরও একবার সেই সিজার লুইস মেনোত্তির দ্বারস্থ এএফএ। এবার খনি থেকে হিরা তুলে আনার দায়িত্ব মোনেত্তির কাঁধে। ৮০ বছর বয়সী ফুটবল-গুরুর নতুন পরিচয় জাতীয় দলের পরিচালক। গত নভেম্বরে ‘ফুটবলীয় সত্তা’ খোঁজার লক্ষ্যে ১০ বছর মেয়াদি যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে এএফএ, সেটির প্রধান হিসেবে কাজ করবেন মেনোত্তি। অর্থাৎ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ জিততে মেনোত্তিই এখন ভরসা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর এএফএর ওপর দায় চাপিয়ে এই মেনোত্তিই বলেছিলেন, বয়সভিত্তিক দলগুলোর যথেষ্ট পরিচর্যা করা হচ্ছে না বলে আর্জেন্টিনার এই অবস্থা। তাঁকেই এবার সেই প্রকল্পের দায়িত্ব দিল এএফএ। পরশু মেনোত্তির সঙ্গে কথাবার্তা পাকা হয়ে যাওয়ার পর এএফএ টুইট করেছে, ‘নিজের ঘরে স্বাগত, সিজার।’ এএফএ থেকে পরশু এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করবেন মেনোত্তি। প্রথমেই তিনি জাতীয় দলের সব কোচ, কর্মকর্তার সঙ্গে বসবেন, তাঁদের কথা শুনবেন। তারপর জাতীয় দলের জন্য একটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করবেন।’