>বিশ্বকাপ এলেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় ভাগ হয়ে যায় বাংলাদেশের মানুষ। নিজের দেশ বিশ্বকাপে না থাকলেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সাফল্য-ব্যর্থতা দিয়েই বিশ্বকাপের উৎসবটা সারেন এ দেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের এই ভালোবাসার খবর নিজেদের দেশের মানুষকে জানাতে ১৫ জুন ঢাকায় আসছেন তিন ব্রাজিলীয় সাংবাদিক।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলে না। খেলার কোনো সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশ্বকাপ যে এ দেশে রীতিমতো উৎসব, সেই খবর বিশ্ববাসীর কানে পৌঁছে গেছে অনেক আগেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কাঁপে। নিজেদের জাতীয় দল না থাকুক, তাতে কী হয়েছে, অংশ নেওয়া ৩২টি দলের মধ্য থেকে প্রিয় দল বেছে নিয়ে উৎসবটাকে পূর্ণতা দিতে তো আর সমস্যা নেই। সমর্থনকারী দেশের পতাকা আর জার্সি দিয়ে বিশ্বকাপ-উন্মাদনা এখানে যে মাত্রা পায়, তা অবাকই করে সারা দুনিয়াকে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ-আনন্দ স্বচক্ষে দেখতেই আসছেন তিন ব্রাজিলীয় সাংবাদিক। ব্রাজিলের বিখ্যাত ‘গ্লোবো’ টেলিভিশন চ্যানেলের এই তিন সাংবাদিক বাংলাদেশে এসে ব্রাজিলীয়দের জানাবেন, সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে থাকা একটি দেশের মানুষ নেইমার-জেসুস কিংবা মেসি-দিবালাদের কতটা ভালোবাসে।
ব্রাজিলীয় সাংবাদিকদের আসার খবরটি দিয়েছেন ঢাকাস্থ ব্রাজিলীয় দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জুলিও সিজার সিলভা। আগামী ১৫ জুন ঢাকায় পা রাখবেন তারা। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলা ঘুরে ২৫ জুন রাশিয়া চলে যাবেন তারা। বাংলাদেশের মানুষের ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা প্রীতির কথা এখন আর অজানা নেই বাইরের দুনিয়ার। এই তিন সাংবাদিক সেটিরই সাক্ষী হতে বাংলাদেশে পা রাখবেন তারা।
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ এলেই বিভিন্ন বাড়ির ছাদে উড়তে থাকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা। এদের মধ্যে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পতাকাই বেশি। ব্যাপারটা ২০০৬ বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশে বসে দেখেছেন জাতীয় দলের সে সময়কার আর্জেন্টাইন কোচ ডিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি ও ট্রেনার ভিক্টর আরিয়েল কোলম্যান।
এই দুজনের কল্যাণেই বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা উড়ানোর দৃশ্য আর্জেন্টিনার পত্র পত্রিকায় আসে। ব্রাজিলেও এ নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। আর গত বিশ্বকাপের সময় জার্মানির বিশাল এক পতাকা বানিয়ে ঢাকার জার্মান দূতাবাসের দৃষ্টি কেড়েছিলেন মাগুরার এক বৃদ্ধ। বাড়ির ছাদে পতাকা টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু শিরোনাম হয়েছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও।