শুরু হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপ। এমন মহাযজ্ঞের জন্য বহুদিন ধরে তৈরি হচ্ছে রাশিয়া। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতিতে শেষের ছোঁয়া দিলেন রাশিয়ার এক সংসদ সদস্য। সাংসদ তামারা প্লেতনিওভা দেশের নারীদের একটা উপদেশ দিয়েছেন। ফুটবল প্রেমটা যেন পর্যটকদের সঙ্গে প্রেমে না গড়ায়। এটা নাকি রাশিয়ার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো হবে না!
বিশ্বকাপের সুবাদে এক দেশের ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে পরিচয় হবে অন্য দেশের ফুটবল ভক্তদের। নিজেদের মধ্যে পরিচিত হবেন ফুটবলপ্রেমীরা। কথা হবে ফুটবল নিয়ে, কথা হবে নিজের দেশ আর সংস্কৃতি নিয়েও। ফুটবল থেকে নিজেদের মধ্যে প্রেম গড়াতে তাই কতক্ষণ! কিন্তু এই ক্ষণিকের প্রেমে পড়ে অতিথিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে না জড়াতে নারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানালেন রাশিয়ান সংসদ প্লেতনিওভা।
রাশিয়ার সংসদের ‘পরিবার, নারী ও শিশু’ বিষয়ক কমিটির প্রধান তামারা নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো রাশিয়ানদের নারীদের জন্য বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে না বলে তিনি মনে করেন। কারণ বিশ্বকাপ শেষে সেই সন্তানের বাবা নিজের দেশে ফিরে যাবে, ‘যদি বাবারা একই জাতির হতো তাহলে সমস্যা হতো না। কিন্তু ভিন্ন জাতির হলে সমস্যা হবেই। এ শিশুদের রেখে চলে যাবে। তারা ওদের মায়েদের সঙ্গে থাকবে। আমাদের সন্তানের জন্ম আমাদেরই দেওয়া উচিত!’
রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৮০ অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে একটি রেডিও চ্যানেলের প্রশ্নের উত্তরে তামারা নিজের এই দুশ্চিন্তার কথা জানান। ১৯৮০তে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত থেকে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর ‘অলিম্পিক শিশু’ নামে পরিচিত পায় অনেক শিশু।
রাশিয়ান এই সাংসদ আরও জানান, ‘আমাদের নারীদের সতর্ক থাকার কথা আমি জাতীয়তাবাদ থেকে বলছি না, বলছি শিশুগুলোর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।’ আরেকজন সাংসদ এই প্রসঙ্গে তামার কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, বিদেশি ফুটবলপ্রেমীদের কাছ থেকে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়ে যায়।
রাশিয়ার এই নারী সাংসদের এমন কথার পর অবশ্য সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বর্ণবাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য এবারের বিশ্বকাপকে বড় অস্ত্র মানছে। এর আগে রাশিয়ার এমন সাংসদের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য রাশিয়াকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে।