বিশ্বকাপে এ কোন প্রতিপক্ষ!

‘বাগ’-এর জন্য মাঠে বেশ ভুগেছেন রাহিম স্টার্লিং। ছবি: টুইটার
‘বাগ’-এর জন্য মাঠে বেশ ভুগেছেন রাহিম স্টার্লিং। ছবি: টুইটার
>রাশিয়া বিশ্বকাপে তো এক দল আরেক দলের প্রতিপক্ষ। কিন্তু দলগুলোর বাইরেও আরেক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়তে হচ্ছে সবাইকে

মাঠের খেলায় প্রতিপক্ষ তো আছেই। মাঠের বাইরেও বেশ শক্ত এক প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে রাশিয়াকে। শুধু আয়োজক দেশটি নয়, বিশ্বকাপ দেখতে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সেখানে যাওয়া সবাইকে এই প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাও দুই-একটা নয় সেই প্রতিপক্ষের সংখ্যা অগণিত, রীতিমতো ঝাঁকে ঝাঁকেই।

 ভড়কে যাওয়ার কিছু নেই। রাশিয়াও যে ‘মশা-মাছিদের ঘরবসতি’ তা জানেন? এই মশার চেয়ে বড় এক ধরনের পোকার জন্য বিশ্বকাপটা ঠিক সেভাবে উপভোগ করতে পারছে না ফুটবলপ্রেমীরা। শুধু দর্শক নয়, ইংল্যান্ড-তিউনিসিয়া ম্যাচে খেলোয়াড়দেরও এই প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ইংলিশ তারকা রাহিম স্টার্লিংকে তো মাঝে-মধ্যেই মাথা ও কান চুলকাতে দেখা গেছে। বিরতির সময় মুখে ‘বাগ’ প্রতিরোধক স্প্রে দিয়ে মাঠে নেমেছিলেন খেলোয়াড়েরা। সেদিন ভোলগাগ্রাদে দর্শক থেকে খেলোয়াড় এমনকি সম্প্রচারক সংস্থার কর্মীদেরও এই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

‘বাগ’ প্রতিরোধক স্প্রে নিচ্ছেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড। ছবি: টুইটার

ব্যাপারটি নিয়ে বেশ চিন্তিত রাশিয়া। আয়োজক কর্তৃপক্ষ সময় নষ্ট না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। স্টেডিয়াম ও বিশ্বকাপ ‘ফ্যানজোনে’র আশপাশের রাস্তা ও গাছপালায় মশা-মাছি প্রতিরোধক ভ্যানিলা নির্যাস স্প্রে করছে রাশিয়া। এ ছাড়া বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবক দলও এই যুদ্ধে মাঠে নেমেছে। দর্শকদের হাতে তাঁরা তুলে দিচ্ছেন মশা-মাছি তাড়ানোর ‘ওয়াইপার’। রাশিয়ায়, বিশেষ করে ভোলগাগ্রাদে এই ‘বাগ’-এর উপদ্রব একটু বেশি। কারণ অঞ্চলটি নদী-নালায় ভরপুর।

বিশ্বকাপে এই ধরনের পোকা-মাকড়ের উপদ্রব অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত বিশ্বকাপেও এর কবলে পরেছিল ব্রাজিল।