>বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় রাশিয়ায় কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে স্পেন। এই ম্যাচের পরই জাতীয় দল থেকে অবসর ঘোষণা করেন স্পেনের কিংবদন্তি মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
ঘোষণাটা যে আসবে, তা মোটামুটি সবাই জানত। এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ সেটাও আগেই জানা ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু ঘোষণার। রাশিয়ার বিপক্ষে হারের পর সেটাই জানিয়ে দিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁকে আর দেখা যাবে না।
বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হারের পর জাতীয় দলের জার্সি খুলে রাখার সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেন ইনিয়েস্তা। স্পেনের জার্সিতে ১৩১ ম্যাচ খেলা কিংবদন্তি এই মিডফিল্ডার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘স্পেনের জার্সিতে এটাই আমার শেষ ম্যাচ। অসাধারণ এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। যেভাবে শেষ করার স্বপ্ন দেখেন, অনেক সময় তা না–ও হতে পারে।’
২০০৬ সালে স্পেনের জার্সিতে অভিষেকের পর এই এক যুগে ইনিয়েস্তা কী জেতেননি! স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা এসেছে তাঁর পা থেকে। ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালে সেই যে ইনিয়েস্তার জয়সূচক গোলটা। ওই গোলটার জন্যই তো বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে পেরেছিল স্পেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই বিশ্বকাপের আগে ও পরে দুটি ইউরো জয়েও দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন গত এক যুগের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার। কিন্তু বিদায়বেলায় তাঁর মনে একটা খটকা কি থেকেই গেল?
রাশিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর এই ম্যাচে ইনিয়েস্তাকে প্রথম একাদশে খেলাননি স্পেন কোচ ফার্নান্দো হিয়েরো। তাঁকে মাঠে নামিয়েছেন ৬৫ মিনিটের পর। এরপর স্পেনের খেলার ধারও বেড়েছে। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি ৩৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। তবে ইনিয়েস্তার প্রথম একাদশে সুযোগ না পাওয়ার সিদ্ধান্তটা মেনে নিতে পারেননি তাঁরই জাতীয় দল সতীর্থ সেস ফ্যাব্রেগাস। বিবিসিকে ফ্যাব্রেগাস বলেছেন, ‘এভাবে বিদায়টা তাঁর প্রাপ্য ছিল না। আমি অবশ্যই মনে করি তাঁকে শুরু থেকে খেলানো যেত।’